স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের চেতনার মাস ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এ মাসের ১৬ তারিখে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় কেতন উড়িয়ে আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। ফলে এ মাস মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মাস, বিজয়ের মাস। জাতীয় গর্বের মাস। এ মাসের ঐতিহাসিক ভাবমূর্তি তাই কোনো অবস্থাতেই বিনষ্ট করতে দেয়া যায় না। জাতীয় ইতিহাসের পবিত্রতার স্বার্থে এ বিজয় মাসের চেতনাকে বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করেই বিজয়ের মহিমাকে সমুন্নত রাখতে হবে।

স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক জঙ্গীবাদী বিএনপি অপশক্তি আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের নামে একাত্তরের পরাজিত রাজাকার অপশক্তি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে অঘোষিত যুদ্ধের উন্মাদনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে গতকাল ৭ ডিসেম্বর যে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে, সেদিকে ইংগীত দিয়ে গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান লেখক গবেষক আবীর আহাদ আবীর আহাদ উপরোক্ত প্রত্যয়দৃপ্ত অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

বিবৃতিতে আবীর আহাদ বলেন, বিশ্বের কোনো দেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাগরিক অধিকার দেয়া হয় না, অথচ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক জঙ্গি অপশক্তি বুক ফুলিয়ে তাদের অবস্থান জানান দিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে না, তারা মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের স্মারক স্বাধীনতার চেতনা, সংবিধান, রাষ্ট্রীয় মূলনীতিমালা, জাতির পিতা, বাঙালি সংস্কৃতিসহ জাতীয় চেতনার আদর্শের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা প্রকারান্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে নস্যাত্ করার লক্ষ্যে একের পর এক অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এটাকে আর প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।

আবীর আহাদ বলেন, স্বাধীনতা রক্ষা ও চলমান আর্থসামাজিক উন্নয়নের গতিধারাকে প্রবহমান রাখার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তিকে ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে হলেও স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক জঙ্গি অপশক্তিকে মুক্তিযুদ্ধের রক্তস্নাত পবিত্র মাটি থেকে সমূলে উৎপাটিত করতে হবে।

(এ/এসপি/ডিসেম্বর ০৮, ২০২২)