স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর পল্টন মডেল থানার মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৪৩৯ জন নেতাকর্মীকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে দলটির ১১ নেতাকর্মীর সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপি চেয়ারপাসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল।

এর আগে রাজধানীর পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) এনামুল হক মিঠু বৃহস্পতিবার দুপুরে জানিয়েছেন, বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে পল্টন মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় ৪৭৩ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। এসময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল, পানি, খিচুড়ি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরকদ্রব্য পাওয়া যায় বলে জানায় পুলিশ।

আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। তবে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে দলটিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়। পরে বিকল্প হিসেবে টঙ্গী ইজতেমা মাঠ বা পূর্বাচলে বিএনপিকে সমাবেশ করতে বলা হয়। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া ঢাকার ভেতরে সমাবেশের বিকল্প ভেন্যু পেলে বিএনপি বিবেচনা করবে বলে জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এদিকে বিএনপির গণসমাবেশ কেন্দ্র করে রাজধানীর প্রায় সব প্রবেশমুখ এবং গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, উত্তরা ও গাবতলী এলাকায় দেখা গেছে, ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে পুলিশের তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। কাউকে সন্দেহ হলেই তল্লাশি করা হচ্ছে। গাড়ি থামিয়েও চলছে তল্লাশি।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০৮, ২০২২)