স্টাফ রিপোর্টার : দেশের মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক সংকট রয়েছে। এই সমস্যা সহসায় পূরণ করা সম্ভব নয়। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে এক কর্মশালায় এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসক সংকট দেখা দিয়েছে। এটি সহসায় পূরণ করা সম্ভব না হলেও শিক্ষক ঘাটতি পূরণে কাজ চলমান।

স্বাধীনতার পর দেশে মাত্র আটটি মেডিকেল কলেজ ছিল উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন সরকারি-বেসরকারি মিলে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ১১০টি। যত দ্রুত মেডিকেল কলেজ হয় তত দ্রুত শিক্ষক তৈরি করা সম্ভব হয়নি। ফলে সাময়িক শিক্ষক সংকট রয়েছে।

স্বাস্থ্যখাতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আমাদের শক্তিশালী অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। এক সময় দেশে কোনো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না, এখন চারটি আছে।

দেশে ৪২৯টি নার্সিং ইনস্টিটিউট রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের ম্যাটস, আইএইচটি রয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশে স্বাস্থ্যখাতে এগিয়ে গেছে, এর প্রমাণ আমাদের মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হার কমেছে। এক সময় আমাদের ভ্যাকসিনেশনের হার শতকরা ২০ শতাংশও ছিল না। এখন তা শতভাগ হয়েছে।

মহামারির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা টিকাদানের মাধ্যমে করোনা নিয়ন্ত্রণ করেছি। যুক্তরাষ্ট্র, ভারতের মতো বড় বড় দেশও পারেনি। এটা কোনো যাদুর বলে হয়ে যায়নি। আমাদের অবকাঠামো ও জনবল থাকায় এটি করতে পেরেছি।

স্বাস্থ্য শিক্ষায় নৈতিকতা বিষয়ক পাঠদান যুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষায় মোরাল পার্ট যুক্ত করতে হবে। চিকিৎসক পেশা একটি সম্মান ও সেনসিটিভ কাজ। চিকিৎসকদের তার দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতার বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, উপজেলা হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকরা যান না। সবাই শহরমুখী হতে চান। অনেক এলাকায় কোনো সার্জন পাওয়া যায় না। এতে সেবা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, মেডিকেল শিক্ষা স্বাস্থ্যখাতের হৃদয়। তাই এটাকে অবহেলা করে চলা যাবে না। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিষ্ঠিত হলেও অনেক ভালো কাজ করেছে। আজকের এই কর্মশালা তার অন্যতম প্রমাণ।

মেডিকেল উচ্চশিক্ষায় শৃঙ্খলা আনার কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মেডিকেল উচ্চশিক্ষায় শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করেছি। ইতিমধ্যে রেসিডেন্সির এমডি, এমএস ও এফসিপিএস ডিগ্রির মধ্যে সমতা এনেছি।

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ০৮, ২০২২)