নাটোর প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার নাটোরের গুরুদাসপুরে রশীদুল ইসলাম নামে স্থানীয়  এক দলিল লেখককে পেটালো ছাত্রলীগ কর্মীরা। উপরুন্তু দলীয় দাপট দেখিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা উল্টো তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।

দলিল লেখক সমিতির নিয়ম অনুযায়ী সমিতিতে দলিল সম্পাদনের টাকা জমা না দেওয়ায় দলিল লেখক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শরিফুল ইসলাম নামে এক দলিল লেখকের বিরোধ বাঁধে। এনিয়ে সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ওই দলিল লেখকের বাকবিতন্ডা হয়। শরিফুল বিষয়টি তার চাচাতো ভাই থানা ছাত্রলীগ সাধারন সম্পদক মেহেদী হাসান মন্ডলকে জানালে ছাত্রলীগ কর্মীরা সমিতির সাধারন সম্পাদক আনিসুর রহমানের শ্যালক দলিল লেখক রাশীদুলের ওপর চড়াও হয়ে মারপিট করে। উল্টো তার বিরুদ্ধে বিশৃংখলা সৃষ্টির অভিযোগ এনে তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

তবে থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ছাত্রলীগের কোন নেতা কর্মী জড়িত থাকার অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে জানান, বিষয়টি দলিল লেখক সমিতির অভ্যন্তরীন বিষয়। দলিল লেখক শরিফুল ইসলামের সঙ্গে সমিতির বিরোধ বাঁধলে বিষয়টি মিমাংসার জন্য থানা ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান মন্ডল সেখানে যান। তার হস্তক্ষেপে বিষয়টি মিমাংসাও হয়ে যায়। কিন্ত রাশীদুল নামে ওই দলিল লেখক এসময় বিশৃংখলার চেষ্টা করলে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

এব্যাপারে গুরুদাসপুর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি গোলাম মোরশেদ ও সাধারন সম্পাদক আনিসুর রহমান জানান, ঘটনাটি দলিল লেখকদের বিষয়। অথচ সমিতির একজন সদস্যকে মারপিট করা ঠিক হয়নি। এনিয়ে সমিতির সদস্যদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে কারা মারপিট করেছে এবিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ দলিল লেখক সমিতির নেতারা।

গুরুদাসপুর থানার ওসি মোহম্মদ ইব্রাহিম জানান, রাশীদুলকে আটক করা হয়নি। পরিস্থিতি শান্ত হওয়া পর্যন্ত তাকে থানা চত্বরে থাকতে বলা হয়েছে।

(এমআর/জেএ/অক্টোবর ১৬, ২০১৪)