একে আজাদ ও মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার সকালে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

পরে সেখান থেকে বের করা হয় একটি শোক র‌্যালী। র‌্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন লোকেসেড বদ্ধভুমিতে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় বদ্ধভুমিতে শহীদদের সম্মানে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন নেতৃবৃন্দ। সেই সাথে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বার,সহ-সভাপতি মহম্মদ আলী চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু সহ জেলা পর্যায়ের অন্যান্য নেত্র বৃন্দ।

যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু আজকের এই দিনটি কে বাঙালি জাতির জীবনে কলঙ্কিত দিন আক্ষা দিয়ে বলেন, বিজয়ের ঠিক দু’দিন আগে নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে জাতি হিসেবে বাঙালিরা যাতে উঠে দাঁড়াতে না পারে সে লক্ষ্যে সুসংগঠিত পরিকল্পনায় ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতির শ্রেষ্ঠ মেধাবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্থানী দখলদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামসসহ দেশদ্রোহীরা।

সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর এই দিনে দখলদার পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস মিলিতভাবে পরিকল্পনা করে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। একাত্তরে ৩০ লাখ শহিদের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে হত্যার ঘটনা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী তাদের পরাজয় আসন্ন জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে বুদ্ধিজীবী নিধনের এই পরিকল্পনা করে।

(একেএমজি/এসপি/ডিসেম্বর ১৪, ২০২২)