একে আজাদ ও মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মন্ডলের (৮০) এর লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে রাজবাড়ী মুক্ত করতে সম্মুখ যুদ্ধ করেছিলেন। 

রবিবার (১৮ ডিসেম্বর ) সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানার উপস্থিতিতে গার্ড অব অর্নার প্রদান করা হয়।

এ সময় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব গোলাম রহমান মিয়া,মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম এ মতিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর হোসেন, বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ হান্নান মোল্লা সহ তার অসংখ্য সহযোদ্ধারা উপস্তিত ছিলেন।

পরে ঘিকমলা হাই স্কুল মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, নারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম,বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, জংগল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কল্লোল বসু,ঘিকমলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবাস চন্দ্র মন্ডল সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও স্থানীয় কয়েক হাজার মানুষ জানাজায় অংশ গ্রহণ করে।

ঘিকমলা পাটকিয়াবাড়ী যৌথ গোরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থতায় ভূগছিলেন। ১৮ ডিসেম্বর রাত ২ টার দিকে নিজ বাড়ী উপজের নারুয়া ইউনিয়নের ঘিকমলাতে মৃত্যূ বরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি পরিবার পরিজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।

উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মন্ডলের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৭৩ সালে নারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার মধ্যে দিয়ে। পরে ৯৮ সালে নারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।দীর্ঘদিন নারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব শেষে সভাপতি নির্বাচিত হন। মৃগী শহীদ দিয়ানত ডিগ্রী কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। নারুয়া মনসুর আলী ডিগ্রী কলেজের সভাপতি ছিলেন। ঘিকমলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়,ঘিকমলা প্রাথমিক বিদ্যালয়,ঘিকমলা মহিলা মাদ্রাসা, পাটকিয়াবাড়ি দাখিল মাদ্রাসা, ঘিকমলা পাটকিয়াবাড়ি গোরস্থানের সভাপতি ছিলেন তিনি।

সর্বশেষ তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষার্থে একটি দোতলা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করে গেছেন।

(একেএমজি/এসপি/ডিসেম্বর ১৮, ২০২২)