অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন গত ৮ নভেম্বরে আড়ম্বরভাবেই অনুষ্ঠিত হয়। এরপর প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো কমিটি ঘোষণা করেনি জেলা সংগঠন। এ নিয়ে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় অনেক কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে জানান নেতা-কর্মীরা। ফলে উপজেলায় সংগঠনটি বর্তমানে নেতৃত্ব ও অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। উপজেলায় আওয়ামী লীগ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হওয়ায় চলছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে শিকদার মোশারফ হোসেনকে সভাপতি ও মোস্তফা আরিফ রেজা মুন্নুকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি করা হয়। পরে ২০২০ সালে সভাপতি শিকদার মোশারফ হোসেন মৃত্যুবরণ করলে ওই কমিটি বিলুপ্ত করে ২৬ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানকে আহ্বায়ক, সরোয়ার জাহান বাদাশা ও মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নুকে যুগ্ম-আহ্বায়ক করে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট শৈলকূপা উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এর মধ্যে গত ৩১ জুলাই শৈলকূপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

অন্যদিকে শৈলকূপা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজম ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট কাজী নইমুল ইসলাম প্রায় ২৬বছর ধরে দায়িত্বে আছেন। এর মধ্যে এই কমিটির অনেকে মৃত্যুবরণ করছেন।

শৈলকূপা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েব আলী জোয়ার্দার জানান, দ্রুত কমিটি ঘোষণা না করলে সাংগঠনিকভাবে আমরা পিছিয়ে পড়বো। তাছাড়া কমিটি ঘোষণা না হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম আব্দুল হাকিম আহমেদ জানান, কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগেই শৈলকূপা উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করার জোর দাবি জানাচ্ছি। তাহলে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করবে।

এ বিষয়ে জানতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিক বার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

(একে/এসপি/ডিসেম্বর ১৮, ২০২২)