শেখ ইমন, শৈলকুপা : ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহুতল ভবন নির্মিত হচ্ছে। অথচ হাসপাতালের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ ভবনটিতে দেদারছে ব্যবহার করা হচ্ছে মরিচা ধরা লোহার রড। সরেজমিনে দেখা গেছে, মরিচা ধরা লোহার রডের ছড়াছড়ি, কিন্তু এসব তদারকির জন্য নাকি প্রতিদিন থাকছে ৩জন করে প্রকৌশলী ! 

শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মানাধীন নতুন হাসপাতাল ভবনের নির্মাণ কাজে মরিচা ধরা এমন সব রড দেখে সচেতন মহল সহ সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বহুতল ভবন নির্মাণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ বেজ ও কলামে ব্যবহার হচ্ছে এসব রড ।

শৈলকুপা পাবলিক হল ও লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক স্বপন বাগচী জানান, লোহা কঠিন ধাতু হলেও সহজেই মরিচা একে ঘায়েল করে ফেলে। মরিচা লোহার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে এবং ধীরে ধীরে লোহাকে ধ্বংস করে দেয়। ফলে মরিচা আক্রান্ত রডের মরিচা দূর না করা পর্যন্ত কখনই ব্যবহার উপযোগী নয়।

শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রাশেদ আল মামুন জানান, প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট্য ছয় তলা নতুন ভবন নির্মিত হচ্ছে। আর এসব দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নতুন ভবনটির কার্যাদেশ পেয়েছেন মেসার্স মিজানুর রহমান এন্টার প্রাইজ নামে ঝিনাইদহের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্তাধীকারী মিজানুর রহমান মাসুমের কাছে ভবনে মরিচা ধরা রড ব্যবহার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, কাজের কার্যাদেশ তার তবে কাজটি হাতবদল হয়ে মেসার্স মোল্লা এন্টার প্রাইজ নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভবন নির্মাণ শুরু করেছেন। এব্যাপারে কথা বলার জন্যে শৈলকুপার মোল্লা এন্টার প্রাইজের স্বত্তাধীকারী শামিম হোসেন মোল্লার মোবাইলে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় ।

স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর(এইচইডি) ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির রায়হান জানান, মরিচা ধরা রডে নির্মাণ কাজের নিয়ম নেই, এমনটি হচ্ছে তা জানেন না। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে তদারকির দায়িত্বে থাকা কেউ অবগতি করেনি, দ্রুত মরিচা ধরা রড সরানো সহ ব্যবস্থা নিবেন ।

(এসআই/এসপি/ডিসেম্বর ২০, ২০২২)