স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ থেকে ফিরে : ঝিনাইদহ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে যাচাই-বাছাই ও তদন্ত ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে তার ভাতা বন্ধ ও গৃহীত ভাতা ফেরত দেওয়ার দাবীতে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন জেলার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা।

এদিকে সরকারের উপর মহলে তার হাত থাকায় সর্বশেষ প্রকাশিত সমন্বিত তালিকায় নামও উঠিয়েছেন তিনি। এতে স্থানীয় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। এ অমুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। এ ব্যাপারে জেলার কয়েকজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা জামুকা, দুদক, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) অসাধু চক্রকে ম্যানেজ করেই তিনি এমন কাজ করেছেন।

অভিযোগকারী বীরমুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন, সিরাজুল ইসলামসহ অনেকে জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ কখনোই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি কিন্ত তিনি ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছেন। সরকারিভাবে তিনি রাষ্ট্রীয় সম্মানও পাচ্ছেন। এটা আমাদের জন্য পরিতাপের বিষয়।

জামুকার সহকারী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, একাধিক যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়া ব্যক্তির নাম মুক্তিযোদ্ধার নতুন তালিকায় আসার কথা নয়। তবে তাদের কাগজপত্র না দেখে বলা যাচ্ছে না। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঝিনাইদহ জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মকবুল হোসেন এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ সকল বিষয় অস্বীকার করে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ জানান, একটা স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

(একে/এসপি/ডিসেম্বর ২০, ২০২২)