শেখ ইমন, শৈলকুপা : ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনার পরও বন্ধ হচ্ছেনা ঝিনাইদহের শৈলকুপার কুমার নদে নিষিদ্ধ চায়না জাল দিয়ে মাছ শিকার। ফলে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে জালের সংখ্যা। এরই মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ জাল জব্দ করা হয়েছে।

উপজেলার গাড়াগঞ্জ থেকে শুরু করে আবাইপুর গ্রাম পর্যন্ত ২৫ কি.মি. জায়গা জুড়ে নিষিদ্ধ চায়না জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। হাজার হাজার ফুট নিষিদ্ধ চায়না জাল ২০০ থেকে ৩০০ গজ পর পর পেতে রাখা হয়েছে। ডিঙি নৌকা নিয়ে প্রতিদিন বিকাল থেকে শুরু হয়ে যায় এই জাল পাতার প্রক্রিয়া এর পর সারারাত পেতে রাখার পর সকাল থেকে চলে জাল গোছানোর পালা।

জানা যায়, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার খবর পেলেই এসব অসাধু মাছ শিকারীরা জাল নদী থেকে তুলে বাড়িতে বা সুরক্ষিত স্থানে লুকিয়ে রাখে। পরে ভ্রাম্যমান আদালত চলে গেলে আবার নদীতে পেতে রাখে। এরই মধ্যে অনেকেই জাল নিয়ে এলাকার বিভিন্ন খালে-বিলে মাছ শিকারে নেমেছে।

এই জালে ধরা পড়ছে বিভিন দেশীয় প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় মাছ। শুধু মাছই নয় নদীতে থাকা কোন জলজ প্রাণীও রক্ষা পাচ্ছে না। এমনকি মাছের ডিমও ছেকে তোলা হচ্ছে এই চায়না জাল থেকে ।

এতে করে প্রাকৃতিক সব ধরনের দেশীয় মাছ ধরা পড়ছে। বিভিন্ন প্রজাতির মাছের মধ্যে চিংড়ি, পুটি, রুইম কাতলা , টেংরা, কই, শিং ,মাগুর, তেলাপিয়া , বেলে, বোয়াল, শোল, টাকি থেকে শুরু করে ছোট বড় কোন মাছই রেহাই পাচ্ছেনা এই নিষিদ্ধ চায়না জাল থেকে। এতে ক্রমেই মাছ শূন্য হয়ে পড়ছে কুমার নদ। দেশীয় মাছ রক্ষার্থে প্রশাসনিক ভূমিকা কঠোর হওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকার সূশীল সমাজ।

এ ব্যাপারে শৈলকুপা মৎস্য মোঃ ফারুক মহলদার বলেন, কুমার নদীতে অভিযান পরিচালনা শুরু করা হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

(এসই/এএস/ডিসেম্বর ২১, ২০২২)