শেখ ইমন, শৈলকুপা : ভবনের প্রধান ফটকের তালা ও গ্রিলে মরিচা ধরেছে। যে স্থান সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পদচারনায় মুখরিত হবে, আলো জ্বলবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে সেই ভবন ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল এখন লতাপাতা আর ধুলায় আচ্ছন্ন।

জানা যায়, প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্মিত আধুনিক ভবনটি ২০১৯ সালের জুলাই মাসে উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। উদ্বোধনের পরদিন থেকেই এটি তালাবদ্ধ। তিন বছর পার হলেও ভবনটিতে একদিনের জন্যও মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি।

এ উপজেলায় তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৮ শতাধিক। সিনেমা হল রোডের ব্রাক অফিসের সামনে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্মিত হয় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স। তিন তলা ভবনে রয়েছে সভাকক্ষ, পাঠকক্ষ, উপজেলা কমান্ডারের অফিস কক্ষ এবং বরাদ্দের জন্য রাখা হয়েছে বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান টুলু বলেন, উদ্বোধনের পরদিন থেকে ১ সেকেন্ডের জন্যও খোলা হয়নি এ ভবনের তালা।

সাবেক কমান্ডার মনোয়ার হোসেন মালিথার ভাষ্যমতে, গত সাত বছর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কমিটি নেই। বর্তমানে ইউএনও ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার। মুক্তিযোদ্ধারা দুই ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষ সেখানে বসতে চাইলে অপরপক্ষের অভিযোগ থাকে। এ কারণে উদ্বোধনের পর থেকেই ভবনটি পড়ে আছে।

সদ্য বিদায়ী উপজেলা প্রকৌশলী রওশন হাবিব জানান, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আসবাব দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও একটি টেলিভিশন এলজিইডি অফিসে পড়ে আছে।

এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন বলে জানান সদ্য যোগ দেওয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার রাজিয়া আক্তার চৌধুরী।

(এসই/এএস/ডিসেম্বর ২৬, ২০২২)