| আলমগীর সরকার লিটন |

জলস্পর্শ পদ্মাবতী

ওগো পদ্মাবতী আর তুলিস না
উত্তল তরঙ্গের ধ্বংসী;
আবার যদি তুলিস সেই গতি
শিলাদেবীর মতো সত্যই-
তোর তরে দিবো আত্মহুতী ।

তখন কি বালিময় স্রোতো
ধারায় ভাসাবি উজান ভাটি
ঐখানে ধু-ধু চর হবে সমাধি-
দেহের ভাজে ভাজে ঢেউ
গাঁয়ে কান্দে না -না কেউ-
অপেক্ষা বর্ষার শীতল জলস্পর্শে
বালির বিন্দু করবে লুটপটি।

যখন জলপ্রণয়ের সপাদময়
করে যদি খুবই ঘূর্ণিপাকে ঘুড়ি
হয়ও তখন সুনামির পদ্মিনী;
সেই না সুনামির ভাজে ভাজে
খুঁজে পাবে সুখময় স্মৃতি।

বাঁকি চুমু


ঘামঝরা মধ্যদুপুর; অস্থির অনুভূতির শিহরণ-
নীল প্রকৃতির মনোরম দৃশ্যগুলো করছে সম্বর্ধনা;
আলোকসজ্জা সেজেছে জোনাকির দল
মাঝে মাঝে দোল দিয়ে উঠছে,
কখন বা দেহ ঝাকুনি দেয়া মৃদু কম্পন,
আর কল্পনার উপলদ্ধিকর কি দীর্ঘশ্বাস?
কখন পৌছাবো! কখন পৌছাবো! গন্তব্য শিহরে।
যমুনার ঝিলিক মারা ঢেউ খেলা পারিয়ে
সাতমাথা চবুতর, তখন ঘড়ির কাটা ঠিক ১২:১৫ মিনিট;
শুধু পূর্ণিমার ঝি ঝি তারায় একলা-
উম্মাদ এক সাহস এগিয়ে চলছি গন্তব্যের বুকে
অবশেষে পৌছেয়ে গেলাম গন্তব্যে-
চারপাশ দেখি ব্যস্তময় আনন্দের হাসি
নিষ্পাপ দেহ ঘুমিয়ে আছে; বক্ষজুড়ে যেন শান্তি ।
ওর ঠোঁট,কপাল,গাল কি জানি চাওয়ার
অধীর অপেক্ষায়; এতোটুকু বুঝতে হয়নি ভুল,
পাঁজর স্পর্শে- কপালে,ঠোঁটে কতো বার দিলাম চুমু –
সেই চুমুর শিহরণে জাগ্রোত হয়ে উঠবে তো,
করবে তো সে বিস্ময়কর কোন কিছুর জয়।
তেমনী করে পাবো তো এই কপালটি জুড়ে-
বাঁকি থাক না! তোর সুখ আনন্দময় চুমো;
সেই অপেক্ষায় কাটাবো, না হয় হাজার লক্ষ প্রহর,
তবু পাবো তো বিধি? বাঁকি চুমুর পরিকীর্ণ স্বাদ।

দক্ষিণা মধুবন

শোন আপনারে ডুবায়েছো দক্ষিণা মধুবন
ঐ দুর্লভ মৌ চাক থেকে ভ্রমর নাকি
নীল মেঘের কোণে হয়েছে টুকরো আঁচল;
শূণ্য চাক রয়েছে পরে ছুটছে বাদর মুখি
কে কে দিবে মিষ্টি পাঁপড়ি উল্টানো হাসি
রজনিগন্ধার মৌ মৌ সৌরভে মশাল জ্বালি।

চিনেছি বক্ষ জুড়ে নয়? অগাধ সাহসে! ঠিক
যেনো ভীমরুলকৃষ্ণর মতো আর বাঁশকঞ্চির
ডগায় গরলময়ী লাল টুকটুকে মানজুল,পিঁপড়া;
ও প্রজাপতি উড়ো মন! শোন উড়িস না ঐখানে
যেখানে আছে শুধু মাধবী লতার খারা গভীরতা
উড় যদি ঝাউবনে, একটু্ও নাই মধু মালতীর গন্ধ।

চিনি ঠিকি,মানা নেই বক্ষ চিনতে,তবু্ও যেন
বাম্পরথ হাওয়া দোলছে ঐখানে দক্ষিণা মধুবন-
দ্বারটা টান টান ডুকে যেতে বাঁধা নেই,বলো নেই।