আবু নাসের হুসাইন, সালথা : ফরিদপুরের সালথায় কুল চাষ করে সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কুল চাষীরা। এ অঞ্চলে দিন দিন বাড়ছে কুল চাষ। বর্তমান বাজারে মিষ্টি ও রসালো ভারত সুন্দরী কুল পাওয়া যাচ্ছে। কুলের ব্যাপক চাহিদা ও দামও ভালো পাচ্ছে চাষীরা। তাই হাসি ফুটে উঠেছে কুল চাষীদের মুখে। এ বছরে উপজেলায় ৮ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের কুল চাষ করা হয়েছে বলে কৃষি অফিস জানিয়েছেন।  

কয়েকটি বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, একটি বাগানে সারি সারি কুলগাছ। আকারে ছোট। বড়জোর তিন থেকে চার ফুট উঁচু। কুলের ভারে নুয়ে পড়েছে গাছগুলো। রশি দিয়ে গাছগুলো বাঁশের সাথে বেধে রাখা হয়েছে, যাতে কুলের ওজনে গাছ নিচে পড়ে না যায়। বাগান থেকে কুল তুলছিলেন বাগানের মালিকরা।

উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামের কুল চাষী মাসুদ মোল্যা ও নাগর মোল্যা জানান, এবছর উন্নত জাতের ভারত সুন্দরী কুল চাষ করা হয়েছে। এই কুল অন্যান্য কুলের চেয়ে আগে পাকে। কুলের ফলন খুব ভালো। তাই বাজারে কুল বিক্রি শুরু হয়েছে। বর্তমানে ভারত সুন্দরী কুল এর চাহিদা অনেক। কারণ এই কুলটি যেমন রসালো, তেমন মিষ্টি। ভারত সুন্দরী কুল প্রতিকেজি পাইকারী মূল্যে ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা। এছাড়াও জমিতে রয়েছে বল সুন্দরী, কাশ্মিরি আপেলসহ বিভিন্ন জাতের কুল। এসব কুল কিছুদিন পরে পাকবে বলে জানান তারা।

স্থানীয় ইমরুল খান নামে আরেক চাষী বলেন, অন্যান্য ফসলের চেয়ে কুল চাষে লাভ অনেক বেশি। তার জন্য দিনদিন কুল চাষের দিকে ঝুঁকছি আমরা। এবছর ফলন খুব ভালো হচ্ছে। আশা করি সবাই লাভবান হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জীবাংশু দাস বলেন, এবছর সালথা উপজেলায় ৮ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের কুল চাষ হয়েছে। বিঘাপ্রতি ১৫০ থেকে ২০০ মণ কুল উৎপাদন হয়। প্রতিবছর কুলচাষি বাড়ছে। কুল চাষে সবজির চেয়ে বেশি লাভ হয়। তা ছাড়া কুল চাষ পতিত জমিতেও হয়। এ জন্য কৃষকেরা বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষে ঝুঁকছেন। কুল চাষীদের সব ধরণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

(এএন/এসপি/জানুয়ারি ১০, ২০২৩)