মো. মনিরুজ্জামান মৃধা মন্নু, মধুখালী : ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বিস্তৃত মাঠ জুড়ে বিছানানো রয়েছে যেন হলুদ গালিচা। উপজেলার পৌর সদরের ৯নং ওয়ার্ডের মেছড়দিয়া  গ্রামের দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ সরিষার ফুলে ফুলে ভরে গেছে। শুধু হলুদ আর হলুদ। রঙের পাশাপাশি সরিষোর হলুদ ফুলের গন্ধ মাতিয়ে দিয়েছে পুরো এলাকা। রঙ আর সুবাসে প্রকৃতি সেজেছে অপরুপ সৌন্দর্যে ও নান্দনিক রুপে। পৌরসভা ছাড়াও  উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামের মাঠে এবার কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। সরিষার ফুলে ফুলে ভরে গেছে উপজেরার বিভিন্ন গ্রামের মাঠ। সেই সাথে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়েছে উঠেছে।

মধুখালী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নে ১ হাজার ২শ ৮০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আবাদ বৃদ্ধি পেয়ে ১হাজার ৪শ’ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে আর কৃষি বিভাগের প্রণোদনা দেওয়ায় এবার আবাদ বেশি হয়েছে। সেই সাথে পরিমিত পরিচর্যার কারনে ফলনও ভালো আশা করছেন তারা। সরিষার ফলন ধরা হয়েছে প্রতি হেক্টর জমিতে ১.৫টন করে।
পৌর সভার মেছড়দিয়া গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম মৃধা বলেন এবার ঝড়বৃস্টি না হওয়ার কারনে সরিষার কোন ক্ষতি হয়নি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার ফলন ভালো হবে বলে আমরা আশা করছি।

একই গ্রামের কৃষক মো. নাসিরুজ্জামান লিটন বলেন, গত বছর বৃস্টিও কারনে সরিষা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কিন্ত এবার এখন পর্যন্ত কেনো সমস্যা হয়নি। আগামীতে কেনো প্রাকৃতিক দূর্যোগ নাহলে আমি ফলন ভালো পাবো বলে আশা করছি।

অন্য কৃষক বলেন, এবার সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। যে কারণে এবার সরিষার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। তেলের দাম যেভাবে বেড়েছে তেল কিনে খাওয়ার মতো নেই। আমরা সয়াবিন তেলের উপর নির্ভর না করে নিজের উৎপাদিত সরিষার তেল দিয়েই সারাবছর চলব। আর সরিষা আবাদে কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে।

মধুখালী উপজেরা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলভির রহমান বলেন, সরকারের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এবছর কৃষকদেও পযার্প্ত সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে। ফলন ভালো পেতে আমরা নিয়মিত কৃষক বাইদেও পরামর্শ দিয়েছি এবং দিচ্ছি। আমরা এ বছর লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি সরিষা পাবো বলে আশা করছি।

(এম/এসপি/জানুয়ারি ১৭, ২০২৩)