স্টাফ রিপোর্টার : কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেছেন, গত একদশকে দেশের উন্নয়ন হয়েছে। পাশাপাশি মানুষের মাথাপিছু আয় ও ব্যয় দুটোই বেড়েছে। তবে, দেশে দরিদ্রের সংখ্যা কমলেও এখনো প্রায় চার কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছেন। মুদ্রাস্ফীতির কারণেই এটা হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতিটা মানুষের জীবনে কাল হয়ে আসে।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) ক্যাবের এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এতে গত বছরের মূল্যস্ফীতি নিয়ে করা এক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। ক্যাবের পক্ষ থেকে এ প্রতিবেদন তুলে ধরেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবির।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে ক্যাব সভাপতি বলেন, ২০২২ সাল খুব স্বস্তির ছিল না। শুধু বাংলাদেশে নয়, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বেই অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। দেশের অর্থনীতি যেহেতু বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত তাই মূল্যস্ফীতির প্রভাব বাংলাদেশের পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে করোনার সময় এবং করোনা পরবর্তী সময়ে অনেক মানুষের আয় কমেছে। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। যদিও হিসেবে দেখা যায়, আমাদের মাথাপিছু আয় বাড়ছে। তবে সেই বৃদ্ধিটা উচ্চবিত্তের ক্ষেত্রে অধিক হয়েছে বলে আমার ধারণা। এতে করে অর্থনীতিতে প্রভাব পড়েছে। মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবন-যাপনে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

সরকার অনেক কর্মসূচি নিয়েছে। সরকারের পদক্ষেপের কারণে যে নেতিবাচক প্রভাব যত তীব্র হতে পারতো তা হয়নি। অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে আছে। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত মানুষের ক্ষেত্রে।

ক্যাব সভাপতি বলেন, পণ্যের দাম একবার বাড়লে যে আবার কমবে এমন আসা করাটা ঠিক নয়। আমরা শায়েস্তখানের আমলে ফিরে যেতে পারবো না। তাই মানুষের আয় যাতে বাড়ে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। বিশেষ করে কর্মসংস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।মানুষের আয় যেন মুদ্রাস্ফীতির থেকে বেশি হয়। যাতে তাদের জীবনমানের উন্নতি হয়। পুষ্টির পরিবেশ যাতে আরও উন্নত হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।

আমাদের দেশে আয় বৈষম্য বাড়ছে। তাই সরকারকে বৈষম্য কমাতে নিম্ন-মধ্যবিত্তদের আয় বাড়াতে বিশেষব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে সংকট আরও বাড়বে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবির ভূঁইয়া ও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ক্যাবের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন। এছাড়া ক্যাবের যুগ্ম সম্পাদক ডা. মো. শাহনেওয়াজ চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ ডা. মো. মুঞ্জুর-ই-খোদা তরফদার ও ভোক্তাকণ্ঠের সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ২১, ২০২৩)