নিউজ ডেস্ক : অভিভাবকের সাথে নিজের পছন্দ না মিললে বৈবাহিক সম্পর্ক সুখের হয় না। সেই সাথে নষ্ট হয় ২টি জীবন এবং সেই সাথে ২টি পরিবারের স্বপ্ন। তাই অভিভাবকের পছন্দে বিয়েতে রাজি হলে মাথায় রাখুন ৫ বিষয়।

১. জীবনের ব্যাপারে সব কম্প্রোমাইজ করবেন না:
পারিবারিক পছন্দের ক্ষেত্রে কিছুটা কম্প্রোমাইজ করতেই হয়। কিন্তু বাবা-মার পছন্দ বলে একেবারে সবকিছু কম্প্রোমাইজ করে তাকেই বিয়ে করতে হবে এমনটি করবেন না। নিজের পছন্দের কথা বাবা-মাকে বলুন। জীবনসঙ্গীর মাঝে কোন জিনিসটি খোঁজেন তাও জানান। তাতে আপনার ভালোই হবে।

২. অভিভাবকের পছন্দের মাঝেই মনের মানুষ খুঁজে নিন:
অভিভাবকরা নিজের পছন্দ একেবারে আপনার ওপর চাপিয়ে দেন না। অনেক সময়েই তারা সুযোগ দিয়ে থাকেন। তারা নিজেরাও যেমন আপনার জন্য পারফেক্ট মানুষ খুঁজে থাকেন, তেমনি আপনি নিজেও তাদের পছন্দের মধ্য থেকেই নিজের পছন্দের বৈশিষ্ট্যের মানুষ খুঁজে নিন।

৩. পছন্দ না হলে জোর করে বিয়ে করবেন না:
শুধু বাবা-মায়ের বাধ্য সন্তান বলেই পছন্দের একেবারেই উল্টো মানুষকে বিয়ে করবেন এমনটি ঠিক নয়। অভিভাবকরা বিয়ে ঠিক করে ফেললেও সেটাতে জোর করে মত দেবেন না। মুখ ফুটে কথা বলার মতো সাহস রাখুন। জীবন একটাই। আর বাবা-মা কখনই আপনার খারাপ চান না। শেষ পর্যন্ত তারা আপনাকে বুঝবেন।

৪. সঙ্গীর অতীত সম্পর্কে খুব বেশি জানতে চাইবেন না:
অতীত থাকতেই পারে। কাজেই অভিভাবকের পছন্দের মানুষটিরও অতীত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। যদি তিনি নিজে থেকে না বলতে চান তবে তা জানার ইচ্ছা প্রকাশ করবেন না। হয়তো অতীত জেনে আপনি তাকে কোনোদিনই আপন করে নিতে পারবেন না। তাই নতুন জীবনে অতীতের ছায়া না মাড়ানোই ভালো।

৫. ভুল কোনো কাজ করবেন না:
অভিভাবকের পছন্দে মতামত দিয়েও অনেকে বিয়ে ভাঙার জন্য নানা ধরনের কাজ করে থাকেন। এই ধরনের ভুল করবেন না। এতে আপনার এবং আপনার পরিবারেরই বদনাম হবে। যদি না পারেন তো মতই দেবেন না। কিন্তু বিয়েতে মত দিয়ে তা ভাঙার মতো ভুল কাজ করবেন না।

(ওএস/এটিআর/অক্টোবর ১৯, ২০১৪)