নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে কোঁচড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে। মাদ্রাসার নিরাপত্তাকর্মী পদে দাতা সদস্যদের ছেলেকে চাকরি না দিয়ে অন্য একব্যক্তিকে ওই পদে চাকরি দেয়ায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিরাপত্তাকর্মী পদে মাদ্রাসার দাতা সদস্য রহিমুদ্দীনের ছেলে আলম সরদারকে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা নেন সুপার সোহরাব হোসেন। কিন্তু ওই পদে তাঁকে চাকরি না দিয়ে ১৭ লাখ টাকা নিয়ে মাহাতাব হোসাইন নামে একব্যক্তিকে চাকরি দেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার বেলা ১১টার দিকে সুপারের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন এলাকাবাসী। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, চাকরিপ্রার্থী আলম সরদার, তোতা মিয়া, রুবেল হোসেন, রিয়াজ উদ্দিন, শাহাদত হোসেন, দুলাল সরদার, আব্দুল মজিদ, নুরজাহান বেগম, সুখি বিবি প্রমূখ।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মাদ্রাসার দাতা সদস্য রহিমুদ্দীন সরদারের ছেলে আলম সরদারকে নিরাপত্তাকর্মী পদে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৩ বছর আগে ৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা নেন মাদ্রাসার সুপার সোহরাব হোসেন। এর পর বিভিন্ন অজুহাতে টালবাহানা করেন তিনি। এ অবস্থায় গত শনিবার (২৮ জানুয়ারি) ওই পদে নিয়োগবোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আলম সরদারকে চাকরি না দিয়ে ১৭ লাখ টাকার বিনিময়ে মাহাতাব হোসাইনকে চাকরি দেন। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সুপারের পদত্যাগের দাবি করেন বক্তারা।

নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে মাদ্রাসা সুপারিনটেনডেন্ট সোহরাব হোসেন বলেন, বিধিমোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রার্থী আলম সরদারের কাছ থেকে নেয়া টাকা ফেরত দেয়া হবে।

(বিএস/এসপি/জানুয়ারি ৩০, ২০১৩)