স্টাফ রিপোর্টার : সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবারও দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম। এর মাধ্যমে সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসেই দরপতন দেখতে হলো বিনিয়োগকারীদের।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কিছুটা কমেছে। পাশাপাশি লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে কমেছে তার থেকে বেশি। অবশ্য ডিএসই ও সিএসই দুই বাজারেই লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। লেনদেনের সময় ১০ মিনিট হওয়ার আগেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। যা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মাত্র ৩২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির। আর ১৭০টির দাম অপরবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২২৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৭০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫০৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৮৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ২০ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৯ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বসুন্ধরা পেপারের ৪৩ কোটি ৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৪১ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আমরা নেটওয়ার্ক।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ইস্টার্ন হাউজিং, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, শাইনপুকুর সিরামিকস, জেমিনি সি ফুড, অলেম্পিক এবং জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১৫২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬২টির এবং ৬৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এদিকে আজ ডিএসই থেকে ৩৪ কোম্পানির ২০২২ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ের আর্থিক অবস্থার চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে কোম্পানিগুলোর ২০২২ সালের জুলাই-ডিসেম্বর ছয় মাসের আর্থিক অবস্থার তথ্যও প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ১৪ কোম্পানির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৯ কোম্পানির। আর ১১ কোম্পানি লোকসান করেছে।

মুনাফা বাড়া ১৪ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- মেঘনা পেট্রোলিয়াম, শাইনপুকুর সিরামিকস, অগ্নি সিস্টেম, এইচআর টেক্সটাইল, আমরা নেটওয়ার্ক, ইভিন্স টেক্সটাইল, এসকে ট্রিমস, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, ফু-ওয়াং ফুড, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট, ন্যাশনাল টিউবস, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল এবং রেহিমা ফুড।

অন্যদিকে মুনাফা কমে যাওয়া ৯ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বসুন্ধরা পেপার, আমরা টেকনোলজিস, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, বেক্সিমকো, মীর আক্তার, মেঘনা সিমেন্ট, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, বেক্সিমকো ফার্মা এবং আর্গন ডেনিমস।

আর লোকসান করা ১১ কোম্পানি হলো- বিডি সার্ভিস, শাহজিবাজার পাওয়ার, জিল বাংলা সুগার মিল, আরএন স্পিনিং, তুং হাই নিটিং, জাহিনটেক্স, কেপিসিএল, ডেসকো, এটলাস বাংলাদেশ, লিগাসি ফুটওয়্যার এবং ইয়াকিন পলিমার।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ৩০, ২০১৩)