স্পোর্টস ডেস্ক : পাত্তাই পেলো না খুলনা টাইগার্স। সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল ৩৭ রানে হারালো ইয়াসিরদের দলকে। দারুণ জয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্সের বেশ কাছে চলে এসেছে বরিশাল। সিলেটের পয়েন্ট এখন ১৬, বরিশালের ১৪।

খুলনার সামনে লক্ষ্য ছিল বেশ কঠিন, ১৯৫ রানের। অধিনায়ক ইয়াসির আলি রাব্বি ৩৮ বলে ৫ চার আর ৩ ছক্কায় ৬০ রানের ইনিংস খেললেও ৮ উইকেটে ১৫৭ রানের বেশি যেতে পারেনি খুলনা।

ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি তামিম ইকবাল (১)। আরেক ওপেনার অ্যান্ডি বালবির্নিও (১৩ বলে ১২) না। মাহমুদুল হাসান জয়কে তো শূন্যতে বোল্ড করেন সাকিব। তবে শাই হোপ ঝড় তুলতে চেয়েছিলেন। ২৪ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে তিনি ফিরলে ফের বিপদে পড়ে দল।

৫৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর খুলনা আসলে ছিটকেই পড়ে ম্যাচ থেকে। অধিনায়ক ইয়াসির রাব্বি চেষ্টা করেছিলেন। তবে রান তাড়ায় কখনই মনে হয়নি খুলনা ম্যাচটি জিততে পারে।

বরিশালের আফগান পেসার করিম জানাত ২৯ রান দিয়ে নেন ৪টি উইকেট। দুটি উইকেট খালেদ আহমেদের।

এর আগে ২১ বলে সাকিব আল হাসান খেললেন ৩৬ রানের ইনিংস। ছক্কা হাঁকালেন ৪টি। ইফতিখার আহমেদের ৩১ বলে ৫১ রানের ইনিংসেও ৩টি ছক্কা। ফজলে মাহমুদের ২৯ বলে ৩৯ রানে ছক্কা ২টি। এমনকি এনামুল হক বিজয়ও ১২ রান করতে মারলেন এক ছক্কা।

বোঝাই যাচ্ছে, কতটা আক্রমণাত্মক ছিল সাকিবের ফরচুন বরিশাল। মারমুখী ব্যাটিংয়ে রানপাহাড়েই চড়েছে তারা, ৫ উইকেট হারিয়ে করে ১৯৪ রান।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ো সূচনা করেছিল বরিশাল। এনামুল বিজয় ৭ বলে ১২ রানে ফিরলেও আরেক ওপেনার ফজলে মাহমুদ ২৯ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন ৪টি বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কার সাহায্যে।

ইব্রাহিম জাদরান অবশ্য কিছুটা ধীরগতির ছিলেন। ২৩ বলে ২৩ করে আউট হয়ে যান এই আফগান। তবে এরপর সাকিব আর ইফতিখার মিলে গড়েন ৩৬ বলে ৫২ রানের জুটি। সাকিব আউট হওয়ার পর হাল ধরেন ইফতিখার।

করিম জানাতকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ১৪ বলেই ৪০ রান যোগ করে দেন ইফতিখার। জানাত ৮ বলে করেন ১৬। তবে ইফতিখার ৩১ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৫১ রানে অপরাজিতই থেকে যান।

খুলনা টাইগার্সের পল ফন ম্যাকেরেন ৩টি উইকেট নিলেও ৪ ওভারে খরচ করেন ৪৮ রান।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৩)