মো: সিরাজ আল মাসুদ, টাঙ্গাইল : বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বাংলাদেশ একদিকে উন্নয়নের ধারায় অগ্রসর হচ্ছে- অন্যদিকে দেশে বৈষম্য এবং দুর্নীতি চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী শক্তি সামাজিকভাবে মানুষের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে, তাদের আক্রমণের মাত্রা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। তারা এখন দেশের রাজনীতিকে ব্যবহার করার প্রয়াস পাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে জামায়াতসহ দেশের রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে নেমেছে।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সূবর্ণ জয়ন্তীর আলোচনা সভায় বক্তব্যের আগে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারে যাওয়ার বিষয়টি আমাদের কন্ডিশন না। আমরা তো একটা অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনীতির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। সেই ঐক্যটা যতদূর পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক থাকবে ততদিন পর্যন্ত জোট থাকবে। আর বড় দল আওয়ামী লীগ যদি মনে করে তারাই যথেষ্ট তাহলে তখন আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ জোটে আসার বিষয়ে তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনীতি এবং মুক্তিযুদ্ধের ধারা অব্যাহত রাখার রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যারা এখানে আসতে চান- অবশ্যই তাদের স্বাগত জানানো হবে। কিন্তু যদি রাজনীতিকে পেছনে ফেলে দিতে চান, তাহলে আমরা তাকে স্বাগত জানাবো না।

রাশেদ খান মেনন বলেন, আমরা ১৪ দলে আছি। আমরা জোটবদ্ধ হয়ে ২০১৪ সালের পর থেকে যেভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে বিএনপি জামায়াত জোট শাসনের পতন ঘটিয়েছিল এবং পরবর্তীতে ১৪ দল ক্ষমতায় আসার পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে কেন্দ্র করে সারাদেশে বিএনপি-জামাত যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল তাও প্রতিরোধ করেছি।
কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচনে ১৪ দলের মূল যে দল আওয়ামী লীগ, তারা সরকারটাকে আওয়ামী লীগের সরকার বলেই পরিচিত করিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন হলেও এর ফলাফল জনগন পাচ্ছে না উল্লেখ করে রাশেদ খান মেনন বলেন, যে আলোচনা হয়েছে তাতে আমরা এখনও জোটবদ্ধ আছি এবং জোটবদ্ধভাবেই নির্বাচনে যাবে। তবে জোটবদ্ধ না হলে নির্বাচন নিয়ে যে ষড়যন্ত্র চলছে সেটি কার্যকর হয়ে যাবে।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি টাঙ্গাইল শাখার জেলা সভাপতি কমরেড গোলাম নওজব পাওয়ার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক, মো. আজাদ খান ভাসানী, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান পিপলু প্রমুখ।

এ সময় ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে স্থানীয় নেতাকর্মী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক নারী শ্রমিক অংশ গ্রহন করেন।

(এসএম/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৩)