নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের নলডাঙ্গায় পাখি শিকার করে বাজারে বিক্রির সময় সাজ্জাক হোসেন (২৮) নামে এক যুবককে আটক করে অর্থদণ্ড করেছে  ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার সকালে রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের একটি দল উপজেলার মাধনগর বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার জাহান আটক সাজ্জাককে  ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের একটি দল সোমবার সকালে নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর বাজারে অভিযান চালায়। এসময় ভট্রপাড়া গ্রামের শাহিন মণ্ডলের ছেলে সাজ্জাক(২৮) নামে এক যুবকের কাছে ১৪টি জবাই ও ৫টি জীবিত বুলবুলি ও বাব্ইু পাখি উদ্ধার করে নলডাঙ্গা থানায় সোর্পদ করা হয়। পরে পুলিশ ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার জাহান তাকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। পরে উদ্ধারকৃত বাবুই পাখি অবমুক্ত করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের গবেষণা কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমাণ, ঘরিয়াল প্রকল্প সমন্বয়কারী মহিবুর রহমাণ, ফরেষ্টার আমজাদ হোসেন, জনিয়র ওয়ারলেস স্কাউটস সোহেল রানা, মুরসালিন ও ওয়াদত্ত মণ্ডল।

রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের গবেষণা কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমাণ জানান, আটক সাজ্জাকসহ বেশ কয়েকজন পাখি শিকারী র্দীঘদিন ধরে এলাকায় বাবুই ও বুলবুলি পাখি শিকার করে বাজারে প্রকাশ্য বিক্রি করে আসছিল। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সাজ্জাককে আটক করা হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। খুব শীঘ্রই অন্যদেরও আটক করা হবে। আটক সাজ্জাককে বন্যপ্রাণী সংরক্ষন ও নিরাপত্তা আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকৃত ৫টি পাখি অবমুক্ত করা হয়।

নলডাঙ্গা থানার ওসি আসলাম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

(এমআর/এএস/অক্টোবর ২০, ২০১৪)