নাটোর প্রতিনিধি : নাটোর সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার আবুল কালাম আজাদের ওপর সোমবার সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।

এই হামলার প্রতিবাদে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ ছাড়া জেলার সকল উপজেলা স্বাস্থ্য চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেয় ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীরা। এছাড়া বিএম নেতৃবৃন্দ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে ২৪ ঘন্টার সময় বেধে দিয়ে গোটা জেলায় সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ বন্ধ ঘোষনা করে।

স্থানীয় সুত্র জানায়, সোমবার ১২ দুপুর টার দিকে হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় ডাক্তার আবুল কালাম আজাদকে মারপিট করে কতিপয় সন্ত্রাসী। হাসপাতালের প্যাথলজী বিভাগে হট্টগোল দেখে ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ সেখানে এগিয়ে যান এবং তাদের নিবৃত্ত করে নিজের চেম্বারে গিয়ে বসেন। এসময় ৮/১০ জনের একদল বহিরাগত সন্ত্রাসী তার কক্ষে প্রবেশ করে পেপার ওয়েট ও চেয়ার উঁচিয়ে তাকে মারপিট করে পালিয়ে যায়।

ডা. কালাম বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে নাটোরের জেলা প্রশাসক মশিউল ইসলাম, পুলিশ সুপার বাসুদেব বনিক, সিভিল সার্জন ডা. ফেরদৌস নিলুফা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান হাসপাতালে ছুটে যান। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
এদিকে এঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষনিক ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীরা হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে জরুরী বৈঠকে বসেন। বৈঠকে বিএমএ নেতৃবৃন্দ আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়ে জেলার সকল সরকারী, বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক বন্ধ ঘোষনা করেন। তবে পুলিশ ঘটনার ৩ ঘন্টা পর শহরতলির দয়ারামপুর সড়ক থেকে ঘটনার মূল হোতা শহরের কান্দিভিটা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে বেলাল হোসেনকে (৩২) আটক করে।

অপরদিকে হঠাৎ করে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেওয়ায় দূর দুরান্ত থেকে আসা রোগীরা চিকিৎসা সেবা না পেয়ে দুভোর্গ সহ ভোগান্তিতে পড়েন। বিএমএ জেলা সেক্রেটারী ডা. জাকির তালুকদার জানান, সন্ধ্যায় বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে বলে জানান।
নাটোর সদর থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার সাথে জড়িত মূলহোতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত এব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ হয়নি।

এদিকে এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন নাটোর পৌরসভার মেয়র শেখ এমদাদুল হক আল মামুনসহ আরো অনেকে।

(এমআর/জেএ/অক্টোবর ২০, ২০১৪)