সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এবার এইচএসসি পরীক্ষায় কিশোরগঞ্জের নামী-দামী কলেজগুলির মধ্য থেকে ১২১টি জিপিএ ৫ নিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ভৈরব রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজ। এই কলেজ থেকে ১২১ জন ছাত্রী জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এবার রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৭২৮ জন, এর মধ্যে পাশ করেছে ৬৬৬ জন, পাশের হার ৯২.৬৩%। পাশের খবরে উল্লাসে মেতে আছে ভৈরবের সুধী সমাজের নেতৃবৃন্দ, অভিভাবক, শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীগণ। 

ভৈরবে এবার ৮টি কলেজে পৌর শহরের ৪টি ও উপজেলার ৪টি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এবার পরীক্ষায় ২ হাজার ৪৩১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৯৫৫ জন পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৬৫ জন।

পৌর শহরের সরকারি জিল্লুর রহমান মহিলা কলেজে ৭১০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৩৩ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৭৬.৫৮%, জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৬ জন শিক্ষার্থী।

সরকারি হাজী আসমত কলেজে ৬১৭ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে ৪৫৮ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৭৬.০৮%, জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৭ জন ছাত্র-ছাত্রী।

ভৈরব আইডিয়াল কলেজে ২৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৪ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৫৮.৩৩%। জিপিএ ৫ নেই একজনও।

ভৈরব উপজেলার শিমুলকান্দি কলেজে ১৩০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১১৩ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৮৬.৯২%, জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬ জন।

জেড রহমান প্রিমিয়ার ব্যাংক স্কুল এন্ড কলেজে ১৬৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২৭ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৭৯.৩৮%, জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪ জন।

জিল্লুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজে ৩৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩২ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৯১.৪৩%, জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ জন।

শহীদুল্লাহ্ কায়সার কলেজে ২৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৫২.১৭%। জিপিএ ৫ নেই।
সদ্য প্রকাশিত ফলাফলের মধ্যে ভৈরব উপজেলায় সবচেয়ে ভালো করেছে রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজ। ফলাফলের দিকে পিছিয়ে পড়েছে শহীদুল্লাহ্ কায়সার কলেজ।

এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. শহীদুল্লাহ আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অভিভাবকদের সবার সম্মিলিত চেষ্টায় আমাদের এই আজকের ফলাফল। গত বছর থেকে এবার আরো ভালো হয়েছে। আমাদের কলেজের ফলাফল শুধু কলেজের জন্যই নয় ভৈরববাসীর জন্য গর্বের। আমাদের কলেজের শিক্ষার্থীরা খুবই শৃৃঙ্খলের মধ্যে থেকে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যায়। শিক্ষকদের পরিশ্রম ও অভিভাবকদের সচেতনতায় আমাদের শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করেছে। করোনার দীর্ঘবিরতির পরও আমাদের শিক্ষার্থীরা কোন ফাঁকি দেয়নি তার প্রমাণ আজকের এই ফলাফল। শুধু ফলাফলেই নয় জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে আমাদের কলেজের মেয়েদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে ব্যাপক সুনাম রয়েছে।

(এস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৩)