আহমেদ ইসমাম, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নে ৫০ একর জমিতে সমলয়ে বোরো ধান চাষের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রায় ১০০ জন চাষি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ধান চাষের প্রস্তুতি নিয়েছে চাষিরা। 

চাষিরা জানিয়েছে, কালের বিবর্তনে জমি ভাগ হয়ে যাওয়া চাইলেও একজন চাষির পক্ষে বড় আকারে চাষাবাদ করা সম্ভব না। এতে করে কৃষিতে যান্ত্রিক ব্যবহার বাড়ানো কষ্ট সাধ্য হয়ে উঠছে। এ দিকে শ্রমিক সল্পতায় চাষাবাদ করা ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে।

রানীসংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রউশুল আযম পলাশ বলেন, কৃষি অফিসার সঞ্জয় দেবনাথ এর নির্দেশ ও সহযোগিতায় আমি সমলয় চাষাবাদ করার জন্য কাজ করি। এক পর্যায়ে ৯৭ জন চাষি চাষাবাদ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন।

তিনি আরো বলেন, যান্ত্রিকভাবে চাষাবাদ করতে বীজতলা ভিন্ন ভাবে বোপন করতে হয়। এ জন্য যে সকল সামগ্রী দরকার তা আমরা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সরবরাহ করি।

পরবর্তীতে যান্ত্রিকভাবে বীজতলা রোপন করা হবে। এ জন্য চাষিদের খরচ ও সময় কম লাগবে। এ ভাবে চারা রোপণ করলে নির্দিষ্ট গভীরতা ও সুষম বিন্যাসের ফলে চারার বৃদ্ধি ও উতপাদন বাড়বে।

ইতিপূর্বে সমলয় চাষ করে আমরা দেখেছি এ ভাবে চাষ করলে একর প্রতি প্রায় দশ মন ধান বেশি ফলন হয়েছে। এছাড়াও চাষিদের উৎপাদন খরচ প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে।

সমলয় চাষি একরামুল বলেন, আগে কখনই সমলয় ভাবে ধান চাষ করা হয় নাই তবে যারা চাষ করেছিল তাদের উৎপাদন ও খরচে লাভবান হয়েছে। কারণ এখন শ্রমিক খরচ অনেক বেশি। যান্ত্রিক ভাবে চাষাবাদ করলে প্রতিকুল পরিবেশে ফসল সংগ্রহ করতে সুবিধা হয়। যার ফলে আমি সমলয় চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছি। এ জন্য কৃষি অফিস থেকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা পাচ্ছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, তিন বছর আগে সমলয় চাষাবাদ করার জন্য কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করি। তবে চাষিরা এ ব্যপারে আগ্রহী ছিল না। পর্যায় ক্রমে কয়েকটি সমলয় হওয়ার পরে এখন চাষিরা এ ব্যপারে আগ্রহী হয়ে উঠছে। বিশেষ করে এ পদ্ধতিতে যান্ত্রিক ভাবে হওয়ায় চাষিদের উৎপাদন খরচ কমে আসছে।

(এআই/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৩)