স্টাফ রিপোর্টার : একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান লেখক গবেষক আবীর আহাদ মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় মর্যাদা সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিতাড়নের দাবি জানিয়ে বলেছেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মতো রাষ্ট্রীয় ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধাদি ভোগ করছে, যা দেশের সাধারণ মানুষকে হতবাক করছে। জনগণ তাদের করের অর্থ ভুয়াদের পেছনে ব্যয় করার বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। তারাও ভুয়ামুক্ত মুক্তিযোদ্ধা তালিকা চান।

গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে আগত একটি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনাকালে আবীর আহাদ উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠকে যোগদানকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন মো: বিল্লালউদ্দিন, তান্জির আহমেদ, মো: গিয়াসউদ্দিন, আনিসুর রহমান, আলাউদ্দিন, আবদুর রহমান, এডভোকেট আবেছউদ্দিন ও মো: চাঁদ আলী।

তাঁরা তাঁদের এলাকার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দৌরাত্ব তুলে ধরে বলেন, এসব ভুয়ারা বয়সে তরুণ, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়ায় প্রতিনিয়ত তাদের হাতে প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিত ও অপমানিত হচ্ছেন। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে তাদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রমাণ দেখালেও জামুকা নীরবদর্শকের ভূমিকাই পালন করছেন না, তারা ভুয়াদের রক্ষা করেই চলেছেন!

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে আবীর আহাদ বলেন, আমরা ইতিমধ্যে কয়েকজন উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রের ভুয়াদের চিহ্নিত করে তাদেরসহ মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অবস্থানরত হাজার হাজার অমুক্তিযোদ্ধাদের বিতাড়ন এবং বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞার আলোকে বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্ধারণের জন্যে সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ প্রদান করেছি। আমরা আশাবাদী, আজ হোক কাল হোক মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে অমুক্তিযোদ্ধা উচ্ছেদ হবেই। কারণ মিথ্যা ও অনিয়ম চিরকাল চলে না।

(পিআর/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩)