নাটোর প্রতিনিধি : বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের রাজ্জাকের মোড়ে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত অথৈ পরিবহনের যাত্রী ৩৫ জনের মধ্যে গুরুদাসপুর উপজেলার শিধূলী গ্রামের নিহত ১৪ জনের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হলো শিধূলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এবং বাকী ৩ নিহতের জানাযা এলাকায়।

স্মরনকালের এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় গুরুদাসপুর উপজেলার শিধূলী গ্রামের জোরা খুনের আসামীর ৬ সহোদর ভাই রব্বেল আলী,আতাহার আলী, সোরাপ হোসেন,কছির উদ্দিন,সহির উদ্দিন ও রায়হান ছাড়াও একই গ্রামের আলাউদ্দিন,আয়নাল হক,লাবু,শরিফ উদ্দিন,তিনু,এবাদ আলী,বাহাদুর আলী ও আজাদ সহ ১৪ জনের নামাজে জানাযা পড়ালেন মাওলানা জহুরুল ইসলাম।

নামাজে জানাযায় সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস ও এলাকার নেতৃবৃন্দ সহ হাজার হাজার মুসুল্লি উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সোমবার বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের বড়াইগ্রাম উপজেলাধীন রাজ্জাকের মোড়ে রাজশাহীগামী কেয়া পরিবহন ও গুরুদাসপুরগামী অথৈ পরিবহনের মুখোমুখী সংঘর্ষে স্বরনকালের বৃহত্তম সড়ক দূর্ঘটনার থবর পেয়ে ওই রাতেই সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতদের পরিবার প্রতি ১ লাখ টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২ জুলাই সকাল সাড়ে ১০ গুরুদাসপুর উপজেলার শিধুলী গ্রামে ডাক্তার ইয়ারুল ও আমির শাহ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত ৪২ জন আসামী মামলার সোয়া ২ বছরের মাথায় নাটোর জজ কোর্টে হাজিরা দিয়ে অথৈ পরিবহনে বাড়ি ফেরার পথে ওই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত্যুবরন করেন। এছাড়াও ওই পরিবহনের যাত্রী চাঁচকৈড়ের রেজাউল করিম,কাছিকাটার বাবুল আক্তার ও উদবাড়িয়ার হান্নান আলী সহ অথৈ পরিবহনের চালক আলমগীর হোসেনের নামাজে জানাযা পৃথকভাবে তাদের এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪০ জন। আহতরা বনপাড়া, নাটোর ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন আছে।

এর মধ্যে শিধুলীর বাবর আলী প্রাং ও আবুল কালাম আজাদ রাজশাহী মেডিকেলে এবং তার স্ত্রী জামিরন বিবি মুমূর্ষ অবস্থায় নাটোর সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নামাজে জানাযার সময় ছাড়াও জানাযার আগে ও পরে এলাকার সর্বস্তরে শোকের ছায়া বিরাজ করছিল।

(এমআর/এএস/অক্টোবর ২১, ২০১৪)