কাজী হাসান ফিরোজ, বোয়ালমারী : দেশব্যাপী ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন সফলের লক্ষ্যে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হলেও ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে কোন এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। ব্যাপক প্রচারণার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী প্রমুখের অংশগ্রহণে সর্বস্তরের জনগণকে অবহিতকরণের উদ্দেশ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে এ ধরনের এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এছাড়া প্রচারণামূলক কোন মাইকিংও শোনা যায়নি।

জানা যায়, সরকার দেশের ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী এ কার্যক্রম চলবে। বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বছরে দুইবার ভিটামিন ‌‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখছে। ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’র অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা নাই বললেই চলে। সরকারি-বেসরকারি টিভি ও রেডিও এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করা হচ্ছে।

কিন্তু ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্যোগে উপজেলায় এ ধরনের কোন প্রচারণা লক্ষ্য করা যায়নি। ক্যাম্পেইন সফলের লক্ষ্যে কোন এডভোকেসি সভাও অনুষ্ঠিত হয়নি। উপজেলার অনেকেই জানেন না কবে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মনজুর রহমান তুষার এই প্রতিনিধিকে রবিবার রাতে বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর বিষয়ে এবার কোন প্রচারণা নেই। আমার মেয়ের বয়স ৪ বছর। আপনাদের (গণমাধ্যমকর্মী) কাছ থেকে শুনলাম আগামীকাল ২০ ফেব্রুয়ারি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল সিকদার বলেন, প্রতিবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। কিন্তু এবার কোন প্রচারণার খবর পাইনি। কোন এডভোকেসি সভাও অনুষ্ঠিত হয়নি। এডভোকেসি সভা করার ক্ষেত্রে নতুন যোগদানকৃত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ধারাবাহিকতার লঙ্ঘন চোখে পড়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাহিদ আল রাকিব বলেন,আমি গত সপ্তাহে দাপ্তরিক কাজে ঢাকায় থাকার কারণে প্রশাসন, গণ মাধ্যম প্রতিনিধিদের সাথে এডভোকেসি মিটিং করতে পারিনি। সরকারের কর্মসূচির প্রথম দিন ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার আমরা শিশুদের এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু করেছি। একদিনে শতভাগ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো সম্ভব না। দুয়েকদিনের মধ্যে প্রশাসন, মিডিয়া প্রতিনিধিদের সাথে পরামর্শ সভা করে সরকারের কর্মসূচিকে শতভাগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যাবতীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, বোয়ালমারী উপজেলার ২৪১টি ক্যাম্পে ৪৫ হাজার শিশুকে একটি করে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

(কেএফ/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩)