মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারে কার্ভার্ডভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে মুন্নি বেগম (৪) নামের চার বছর বয়সী এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শিশুটি পাশের বাসায় শিন্নি খাওয়ার জন্য অন্য শিশুদের সাথে পায়ে হেটে যাচ্ছিল। এমন সময় শ্রীমঙ্গল থেকে ছেড়ে আসা দ্রুত গতির কার্ভার্ডভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ন ২০-৮৯৬১) মূল সড়ক থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই শিশুটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

সোমবার (৬ মার্চ) বিকাল পাঁচটার দিকে মৌলভীবাজার শহরতলীর শ্রীমঙ্গল সড়কে জগন্নাথপুর এলাকার পল্লিবিদ্যুৎ জোনাল কার্যালয়ের সামনে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় উত্তেজিন জনতা কার্ভার্ডভ্যানটিকে আটক করলেও ঘাতক চালক পালিয়ে যায়। তবে কার্ভার্ডভ্যানের হেলপারকে আটক করতে সক্ষম হন স্থানীয়রা।

নিহত শিশুর বাবা মুন্না মিয়া পেশায় একজন ট্রাক শ্রমিক। শিশুটি তাঁর বাবা-মায়ের সাথে শ্রীমঙ্গল সড়কের পাশের হুমায়ুন মিয়ার কলোনিতে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছিলো।

সরেজমিন গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকালে শিশু মুন্নি মায়ের সাথে কথা বলে নিজ বাসা থেকে পাশের বাসায় শিন্নি খেতে বের হয়। এর পর শ্রীমঙ্গল সড়কের মূল সড়ক থেকে অন্তত ১০ থেকে ১২ ফুট দূরত্বের ফুটপাত দিয়ে হাটছিলো শিশুটি। হাটা অবস্থায় সড়কের পাশের একটি সিমেন্টের গোডাউনের সামনে পৌঁছা মাত্র দ্রুত গতিতে আসা কার্ভার্ডভ্যানটি শিশুটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায় ওই শিশুটি। এসময় গাড়িটির চাকায় পিষ্ট হওয়ায় শিশুর মাথা থেতলে গিয়ে মগজ বের হয়ে এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ওই শিশুর মরদেহ মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। এবং কার্ভার্ড ভ্যান ও আটক হেলপারকে থানায় নিয়ে যায়।

এদিকে শিশুর বাবা মুন্না মিয়া ঘটনাস্থলের পাশে দাঁড়িয়ে আহাজারি করছিলেন,এসময় তিনি বলেন,মুন্নি আমার বড় মেয়ে,আমি কাজে ছিলাম, হটাৎ সড়ক দুর্ঘনার খবর পেয়ে আমি আসি। এসে দেখি আমার মেয়ের নিথর দেহ।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী জানান,বর্তমানে শিশুটির মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় চালক পলাতক রয়েছে,তবে গাড়ির হেলপারকে আটক করা হয়েছে।

(একে/এএস/মার্চ ০৬, ২০২৩)