আসাদ সবুজ, বরগুনা : বরগুনার আমতলী উপজেলায় আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামের ০৭ নং ওয়ার্ডের হাওলাদার বাড়ির সামনে আশ্রয়নের ৩ টি ব্যারাকের ৩০টি ঘর সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্ত হওয়ায় পরিণত হয়েছে গোয়াল ঘরে। ঘরের চালার টিনগুলো মরিচা ধরে খসে পড়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বর্তমানে এসব ঘর বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয়নের ৩ টি ব্যারাকে ৩০ টি পরিবারের থাকার কথা থাকলেও ১ টি ব্যারাকে মাত্র ৩টি পরিবার অতি কষ্টে মানবতার জীবনযাপন করছে। নির্মাণের পর সংস্কারকাজ না হওয়ায়, ঘরগুলোর দরজা, জানালা খুলে পড়ে গেছে। ঘরের কয়েকটি সিমেন্টের খুটি ছাড়া আর কিছুই নেই। ফাঁকা পড়ে আছে বেড়াবিহীন ঘর গুলো।

পরিত্যক্ত বসবাস অনুপযোগী এসব ঘর ভেঙে আবার পূর্ণ নির্মাণের দাবি গৃহহীন পরিবার গুলোর।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এসব ঘর নির্মাণের সময় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। নির্মানের পর থেকে এসব ঘর মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ঘরের টিন লোহা খুটি সব নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আশ্রয়নে বসবাসরত সবাই চলে গেছে। ঘরে মানুষ না থাকার সুযোগে দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে লাখ লাখ টাকা মূল্যের টিন লোহার এঙ্গেল খুলে নিয়ে গেছে।

আশ্রয়নে বসবাসরত ফারুক শরীফ বলেন, ঘরের অবস্থা এতই খারাপ এখন আমরা আর এই ঘরে থাকতে পারি না। চাল দিয়ে বৃষ্টির সময় পানি পরে। আমাদের পানি খাওয়ার একটি টিউবয়েল ছিল তাও দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে খুলে নিয়ে গেছে।

আশ্রয়নে বসবাসরত সাজেদা বলেন, নির্মাণের পর সংস্কার না করায় ঘরের দরজা, জানালা এবং চালার টিনগুলো মরিচা ধরে খসে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে ঘর থেকে পানি পড়ে ঘরে থাকার অনুপযোগী হয়ে পরে।

আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেলী পারভিন মালা জানান, আমি এই আশ্রয়নের ব্যাপারে জানি এবং পূর্বের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে জানিয়েছি তিনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছিলেন।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমি অবহিত নযই, এখন জানলাম। স্থান পরিদর্শন করে দেখব এবং ব্যবস্থা নেব।

(এএস/এসপি/মার্চ ০৭, ২০২৩)