স্টাফ রিপোর্টার : বাউফল উপজেলার সিংহেরাকাঠী গ্রামে গত ২ মার্চ দুপুর ১২টায় জাকির হাওলাদার পিতা আঃ রাজ্জাক হাওলাদার কে তালগাছ কাটা কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে একই গ্রামের মোঃ আসাদুল ফকির পিতা জালাল ফকির গং।

মামলা ও স্হানীয় সূত্রে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, আসাদুল ফকির এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা করে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তার রয়েছে একটা শক্তিশালী সিন্ডিকেট যাদের ভয়ে গ্রামবাসী মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। সূত্র জানায় ঘটনার সময় ভিক্টিম জাকিরের বাবার লাগানো তালগাছ কাটতে আসে আসাদুল গং। তখন জাকির বাধা দিলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসাদুল জাকিরের মাথা লক্ষ্যকরে গাছ কাটা সেনা দিয়ে কোপ দিলে লক্ষভ্রষ্ট হয়ে বাম কানে কোপ পরে কান কেটে রক্তাক্ত জখম করে এবং অন্যান্য আসামিরা লোহার শাবল, লাঠি দিয়ে পিটাতে থাকলে জাকিরের আর্ত চিৎকারে স্ত্রী সালমা বেগম ও তার মেয়ে লিয়া মনি বাচনোর জন্য ছুটে যায়। আসামি গন এতোই বেপরোয়া যে সালমা বেগম ও তার মেয়েকে টেনে হিচড়ে কিল ঘুষি দিয়ে শ্লীলতা হানি করে। সালমা ও তার মেয়ের সর্নালংকার আসামিরা জোর করে ছিনিয়ে নেয়। আরো জানা যায় গ্রামবাসীর সহায়তায় সালমা বেগম জাকির কে চিকিৎসার জন্য বাউফল উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সালমা বেগম বাদি হয়ে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট ২য় আমলী আদালতে ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৫৪/৩৭৯/৪২৭/৫০৬(!!) দঃবিঃ ধারায় মামলা রুজু করে যার মামলা নং ১৮৬/২০২৩। মামলা টি বিজ্ঞ আদালত পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ( ডি বি) কে তদন্ত ভার প্রদান করে ।

গ্রামবাসী আরো জানায়, আসামি মাদক বিক্রেতা আসাদুলের নেতৃত্বে গত ৪ মার্চ ২০২৩ সন্ধ্যায় পুনরায় ২৫/৩০ জনের একটি গ্রুপ নিয়ে হামলা করার জন্য জাকিরের বাড়ির দিকে যায় এবং গ্রামবাসী ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেয়। জাকিরকে বাউফল হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে গত ৫ মার্চ সন্ধ্যায় বাড়ি আনলে বাবা আঃ রাজ্জাক হাওলাদার ছেলেকে ঐ অবস্হায় দেখে সয্য করতে না পেরে সেদিনই মৃত্যুবরণ করেন। বিষয় টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। একাধিক ব্যক্তি জানায় দীর্ঘদিন যাবৎ আসাদুল ফকির সিন্ডিকেট সিংহেরাকাঠী মহিলা মাদ্রাসার সামনে সন্ধ্যার পরে এবং বাহেরচর বাজারের আনাচে কানাচে বসে ইয়াবা সাপ্লাই দিয়ে ব্যবসা করে আসছে।

(এসএস/এএস/মার্চ ১৩, ২০২৩)