অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী আব্দুল হালিমকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী শৈলকূপা উপজেলার ছাত্তার মণ্ডলের ছেলে আবুদল হালিম পলাতক রয়েছে।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান জানান, শৈলকূপা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের আসালত হোসেনের মেয়ে ববিতা খাতুনের একই উপজেলার আব্দুল হালিমের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী ববিতা খাতুনের নির্যাতন করে আসছিল। এরই জেরে স্বামী হালিম ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় স্ত্রী ববিতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ বাড়ির পাশের মেহগনি বাগানে ফেলে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ববিতা খাতুনের মা সালেহা বাদী হয়ে ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর শৈলকূপা থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধান আসামী আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। দীর্ঘবিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আসামীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। সেই সাথে ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ডেও দণ্ডিত করা হয়। আসামী পলাতক থাকায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে।

(একে/এসপি/মার্চ ১৪, ২০২৩)