নাটোর প্রতিনিধি : বড়াইগ্রামের রেজুর মোড়ে দুর্ঘটনা কবলিত অথৈ ও কেয়া পরিবহনের বাস দুটিকে এখনও সরিয়ে নেওয়া হয়নি। গত তিনদিন ধরে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রয়েছে বাস দু’টি। বিশ্বব্যাংকের সমীক্ষায় নির্মিত  জনগুরুত্বপুর্ন এই মহাসড়কের রেজুর মোড় এলাকায় গেলেই জঙ্গলে পড়ে থাকা দু’টি বাসের গায়ে হতাহতদের রক্তের ছাপ দেখা যায়। এখনও ওই দু’টি বাসের ভিতরে ও পাশে পড়ে রয়েছে রক্তমাখা স্যান্ডেল,লুঙ্গি,সার্ট ও প্যান্টের ছেঁড়া অংশ সহ হতাহতদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র। সড়কের দু’পাশে ওই দু’টি বাসের অবস্থান। সড়কের একপাশে দুমড়ে মুচড়ে পড়ে রয়েছে অথৈ পরিবহন।

অপর পাশে আইল্যান্ডের ধারে খাদের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে কেয়া পরিবহন। বাস দু’টি এখনও সাক্ষী দিচ্ছে স্মরনকালের ভয়াবহ দুর্ঘটনার কথা। দুর্ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত বাস দু’টিকে সরানো হয়নি। কৌতুহলী মানুষ এখনও দুর্ঘটনা কবলিত বাস জটলা করে দেখছে। সড়কের কিনারায় মানুষ দাঁড়িয়ে থাকলেও পাশ দিয়ে বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চলছে। ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা না থাকায় নতুন করে দুর্ঘটনার আশংকা করছে স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ,এভাবে বাস দু’টি তিন ধরে পড়ে থাকায় দিনের চেয়ে রাতে বেশী অসুবিধা হচ্ছে। যানবাহন চালকরা সময় ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা কবলিত বাস দু’টি দেখতে না পেয়ে সড়কের ওপর পড়ে থাকা বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া রাতে অনেকেই হঠাৎ করে দুমরে মুচরে যাওয়া বাস দেখে বিচলিত হয়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলতে পারেন। স্থানীয়দের অনেকেই রাতে ভুতের ভয় আতংকে থাকে।

বড়াইগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান জানান,তদন্তের কারনে বাস দু’টি দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরানো হয়নি। ঘটনা তদন্তে গঠিত তদন্ত টিম বুধবার রাতে প্রতিবেদন দাখিল করার কথা রয়েছে। প্রতিবেদন দাখিলের পর বাস দু’টিকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
এদিকে দুর্ঘটনা কবলিত বাস দু’টির ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই অনুসন্ধানে জেনেছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্স পোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। তবে ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকলেও ওই বাস দু’টির বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

নাটোর বিআরটিএর ইন্সপেক্টর আশরাফুজ্জামান বাস দু’টির ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকার সত্যতা স্বীকার করে জানান,কেয়া পরিবহনের ফিটনেস নেই দেড় বছরধরে। এছাড়া একই সময়ে রুট পারমিট ও ট্যাক্স টোকেন নেই। এছাড়া অথৈ পরিবহনের রেজিষ্ট্রেশনই নেই। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এমআর/এএস/অক্টোবর ২২, ২০১৪)