কাজী হাসান ফিরোজ, বোয়ালমারী : ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে ছোলনা চৌধুরী বাড়ি সংলগ্ন রাইস মিলের সামনে মানুষের মনে কৌতুহল সৃষ্টিকারী এক ফল ধরেছে, অচেনা এক গাছে। ফলটিকে কেউ বলে থাইবেল, আবার কেউ বলে সবুজ মাকাল ফল। ফলটিকে ঘিরে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। কেউ জানতে চায় ফলটার স্বাদ কেমন? কেউ বলে এটা দেখার শোভা, খাওয়া যায়না।

ফলটি দেখতে লাউ, কাঁচা নারকেল (ডাব) এবং বড় আকারের কাঁচা বেলের মত। বিশিষ্ট কবিরাজ রুহুল আমীন বলেন, ফলটি পুষ্ট হলে এটা লাউয়ের খোলের মত ব্যবহার করা যায়। তিনি বলেন, ফিলিপাইনে এ ফলটিকে মিরাকল বা অলৌকিক ফল বলা হয়। আমাদের দেশের বেল গোত্রের ফল হলেও এটা বেলের মত পাকা খাওয়া যায়না। এটাকে সিদ্ধ করে শরবত বানিয়ে খেতে হয়। ফলটি পাকলে ভেঙে ভিতরে মিহি ভর্তার মত পদার্থ পাওয়া যায়। কাদার মত রং। ভিতরের মিহি পদার্থ বের করে জলাশয়ের পাশে রেখে দিলে মানুষ কাদা ভেবে ভুল করবে।

কবিরাজ রুহুল আমীন বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে নার্সারিতে দুয়েকটা গাছ চোখে পড়ে। পানসে-টক স্বাদের এই ফলগাছ চাষে মানুষের আগ্রহ নেই বললেই চলে। অথচ এই ফলের রয়েছে প্রচুর ভেষজ গুণ। এই ফল পাকলে সিদ্ধ করে শরবত কিংবা সুন্দরভাবে কেটে টুকরো টুকরো করে আচার বানিয়ে খেলে প্রভূত উপকার পাওয়া যায়। বক্ষব্যাধির রোগে অনেক ভাল ফলপাওয়া যায়। এতে ভিটামিন B1, ভিটামিন C, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম রয়েছে। এর অন্যতম একটি উপাদান আছে, যা দেহে চিনির পরিমাণ কমিয়ে দেয়। পটাশিয়াম থাকার কারণে উচ্চ রক্তচাপও কমিয়ে আনে। ফলে এটি ডায়াবেটিস ও প্রেশারের রোগীদের জন্য উত্তম পছন্দ। যার ফলে এই ফলের জুসের কদর বহুবিধ। পুরনো কাশি, শ্বাস রোগ ও হাঁপানি রোগে খুবই উপকারী । এই ফলের শরবত মানুষের বার্ধক্য রোধে বেশ কার্যকর। শরীরের চামড়া মসৃণ রাখে এবং চামড়ার নানা ধরনের ক্ষত দূর ও পচন রোধে ব্যবহার করা হয়।

(কেএফ/এসপি/মার্চ ১৮, ২০২৩)