আইরিশদের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
স্পোর্টস ডেস্ক : আয়ারল্যান্ড এমনিকে জায়ান্ট কিলার হিসেবে বেশ পরিচিত। তাদের টক্করটা বাধে সবচেয়ে বেশি ইংল্যান্ডের সঙ্গে। ইংলিশদের অনেক বড় বড় স্কোর তাড়া করে জয়ের রেকর্ড রয়েছে আইরিশদের। বাংলাদেশের বিপক্ষেও কী তেমন কোনো চমক দেখাবে?
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যাান্ড সেই চমক দেখাতে পারেনি। বরং, বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ৩০.৫ ওভারেই অলআউট হয়ে গেলো মাত্র ১৫৫ রানে। প্রথম ওয়ানডেতেই ১৮৩ রানের বিশাল জয়ে সিরিজ শুরু করলো তামিম ইকবালের দল।
পেসার এবাদত হোসেন নিয়েছেন ৪ উইকেট। স্পিনার নাসুম আহমেদ মিডল অর্ডারে ৩ উইকেট নিয়ে আইরিশদের কোমর ভেঙ্গে দেন। তাসকিন আহমেদ নেন ২ উইকেট এবং উইকেট পতনের সূচনা করেছিলেন সাকিব আল হাসান। তিনি নেন ১ উইকেট।
বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণে বাংলাদেশ নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের দেখা পেয়ে গেলো। এমনিতে ৩৩৮ রান করে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় স্কোর গড়েছিলো তামিম ইকবালের দল। এবার ১৮৩ রানের জয়ে বাংলাদেশ পেলো সবচেয়ে বড় জয়ের দেখা।
৩৩৯ রানের বিশাল স্কোর তাড়া করতে নামার পর শুরুতে আইরিশরা কিন্তু ভালোই খেলেছিলো। দুই আইরিশ ওপেনারের ব্যাটে চড়ে বড় স্কোর তাড়া করার সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলো তারা। স্টিফেন ডেলানি এবং পল স্টার্লিংয়ের ৬০ রানের জুটি কিছুটা শঙ্কা জাগিয়েছিলো বৈকি।
কিন্তু অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের দারুণ বোলিংয়ে ৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙ্গে যায়। এরপর তার দেখানো পথে হেঁটে সফরকারী আয়ারল্যান্ডকে চেপে ধরেন তাসকিন আহমেদ এবং এবাদত হোসেন। যার ফলে ৭৬ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে আয়ারল্যান্ড।
৬০ থেকে ৭৬ - এই ১৬ রানেরই মূলত ৫টি উইকেট হারায় সফরকারীরা। এর মধ্যে তাসকিন আহমেদ এবং এবাদত হোসেন - দু’জনই সমান দুটি করে উইকেট তুলে নেন।
১২তম ওভারে স্টিফেন ডেলানিকে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেয়ান সাকিব আল হাসান। ৩৮ বলে ৩৪ রান করে আউট হন তিনি। ৬২ রানের মাথায় ফিরে যান অপর ওপেনার পল স্টার্লিং। এবাদত হোসেনের বলে ব্যাটের কানায় বল লাগিয়ে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে জমা দেন স্টার্লিং। তিনি করেন ২২ রান।
এরপর অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নি ৫ রান করে বোল্ড হয়ে যান তাসকিন আহমেদের বলে। হ্যারি টেক্টর এবাদতের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন কেবল ৩ রান করে। ৮ বলে ৬ রান করে তাসকিনের বলে ফিরে যান লরকান টাকার।
৭৬ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর বিপর্যয় কাটানোর চেষ্টা করেন কার্টিস ক্যাম্ফার এবং জর্জ ডকরেল। দু’জন মিলে ৩৩ রানের জুটিও গড়েন। তবে নাসুম আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ক্যাম্ফার ফিরে গেলে এই জুটি ভাঙে। এরপর নাসুমের বলে গ্যারেথ ডেলানি ১ রানে এবং অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন শূন্য রানে উইকেট হারায়।
মার্ক অ্যাডেয়ার ১১ বলে ১৩ রান করে এবাদতের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন। সর্বোচ্চ ৪৫ রান করা জর্জ ডকরেল বোল্ড হলেন এবাদত হোসেনের বলে। তিনি আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে যায় আয়ারল্যান্ডের ইনিংস।
উইকেটের পেছনে আজ খুবই তৎপর ছিলেন মুশফিক। ৫টি ক্যাচ ধরেন তিনি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ৮৯ বলে সর্বোচ্চ ৯৩ রান করেন সাকিব আল হাসান। ৮৫ বলে ৯২ রান করেন অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়। ২৬ বলে ৪৪ রান করেন মুশফিকুর রহিম। ৪ উইকেট নেন গ্রাহাম হিউম।
(ওএস/এএস/মার্চ ১৮, ২০২৩)