উপল বড়ুয়ার তিনটি কবিতা
| উপল বড়ুয়া |
এ্যান্টিসোশ্যালিস্ট
শায়িত বুদ্ধের কাছে গিয়ে আমিও শুয়ে থাকি
পূজারিরা ফুলফলে ধূপেমোমে জানায় আরতি
আমিও যখন পূজ্য ভোজের পর করি আত্মরতি
কিয়াংয়ে কিছু আছে যাযাবর কাক ও কোকিল
খাবারে কম পড়ে গেলে প্রচন্ড নালিশ জানায়
শ্রামণের কাছে
যিনি রোজ ভোরে ঘন্টা বাজিয়ে ঘোষণা করেন সাধুবাদ
বোধিতরুছায়াতলে বসে চর্চা করি নিবিষ্ট ধ্যানের
মেনকার ইনকামিং কলে ভেঙে যায় নির্বাণের সেতু
দান শীল ধ্যান পূণ্যের নিয়মকার্য আমি কিছুই জানিনা
ত্রিপিটকের সুত্র ভুলে যখনতখন আওড়াই হাংরি কবিতা
ফলে আমাকে সবাই আত্মকেন্দ্রিকতার অভিযোগে শাসাচ্ছে
বিকেন্দ্রীকরণের...
মাতাল ড্রাইভার
জ্ঞানী বৃক্ষদের মাঝে আমি নিতান্ত মূর্খ পরগাছা
অবসরে বসে বসে টানি জ্ঞানবৃক্ষের পাতা
যে ট্রাক অকেজো অথবা চলছে না আপাতত
সেই ট্রাকের আমি মাতাল ড্রাইভার
পাখিদের উড়াল দেখতে দেখতে দেখছি পাতাদের পতন
মাছরাঙা কি কেবল শিকারই দেখে
দেখেনা মৎস্যকুমারীর বুক ডলা স্নান?
পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে ব্রতচারী ও যৌনচারী
নদী ভেবে ঝাঁপ দিয়েছি যে নদীতে
ভয় পেয়ে সেও বেঁধে নিয়েছে কোমরের ফিতে
চারলোকপাললোকনাথশক্রশিবব্রহ্মাবিষ্ণুকৃষ্ণকালীরামগৌতম
নির্বাণ আমি পেয়ে গেছি স্তনযোনিকবিতামদের গেলাসে
তুমিও পাবে আমাকে বিশ্বাসে...
এ্যান্টিপোয়েট্রি
ক.
নামের পেছনে দৌড়াচ্ছিল গরু। গরুর পেছনে রাখাল। রাখালের হাতে দঁড়ি। সুযোগ পেলেই পরিয়ে দিবে গলায়। দৌড়ায় গরু উড়ে লেজ নড়ে দুগ্ধ ওলান। একটু থামলেই ধরে রাখাল চুষে নেবে বাট। দৌড়াও গরু দৌড়াও। পার হয়ে যাও একাডেমির মাঠ।