অমল তালুকদার, পাথরঘাটা : প্রায় ৪ মন বা দেড়'শ  কেজি ওজনের বিশাল বড় সাইজের  ২টি হরিণ কি কারনে মারা গেল কিংবা মেরে ফেলা হল কি-না! সে রহস্য খুজে ফিরছেন বনবিভাগের সদস্যরা। যদি সুন্দরবন ছেড়ে মানুষের কাছাকাছি থেকেও নিরাপদ না হয় মায়াবী চিত্রল হরিণের জীবন? তাহলে সুন্দরবন-ই হয়তো তাদের জন্য নিরাপদ। এমন দাবী এখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের। 

বিভিন্ন সময় এই হরিনঘাটা বনের হরিনসহ মূল্যবান কাঠ পাচার হচ্ছে। বনকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা বনপ্রহরীদের কাজটি কি? এই প্রশ্ন সচেতন মহলের।

ফের বরগুনার পাথরঘাটায় হরিণঘাটা ইকোপার্কের বন থেকে দুটি মৃত হরিণ উদ্ধার করেছে বনকর্মীরা। সোমবার রাত ৮টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুফল চন্দ্র গোলদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে হরিণ দুটি কি কারনে মারা গেল; সে রহস্য তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

এর আগে দুপুর ১২ টার দিকে হরিণঘাটা বনাঞ্চলের জ্বিনতলা এলাকার দক্ষিন দিকের গহীন বন থেকে হ রিণ দুটি মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, হরিণঘাটা বনের জ্বিনতলা এলাকা থেকে দক্ষিণে বনের গহীন থেকে দুটি মৃত হরিণ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের জানালে বনের ভিতরের খালের পাড় থেকে হরিণ দুটি মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে সন্ধার দিকে পাথরঘাটা বনবিভাগের অফিসে নিয়ে আসে।

স্থানীয়রা জানান, কিছু অসাধু জেলেরা খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করে। সম্ভবত হরিণ দুটি সেই খাল থেকে পানি পান করায় মারা গেছে।

বন বিভাগের পাথরঘাটা সদর বিট কর্মকর্তা মুহিদুর রহমান জয় জানান, পাথরঘাটায় মুসলধারায় বৃষ্টি হওয়ায় বনের ভিতর থেকে খুঁজে বের করতে একটু সময় লেগেছে। হরিন দুটি বনের ভিতরে খালের পাড়ে একটি থেকে অপরটি ২০ হাত দুরত্বে পাওয়া গেছে। মৃত হরিণ দুটি প্রায় ১'শ ৫০ কেজি ওজন হবে।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার জানান, মৃত হরিণ দুটি মৃত্যুর কারন উদঘাটনের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। রিপোর্ট পেলে কারন জানা যাবে। এছাড়া বন বিভাগের আইন অনুযায়ী হরিণ গুলোর চামড়া ও শিং সংরক্ষণ করে বাকি অংশ কেরোসিন দিয়ে মাটির নিচে পুতে ফেলা হবে।

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন,বনবিভাগের কিছু অসাধু সদস্যরা এসব ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষ বা প্রতক্ষভাবে জড়িত।

(এটি/এসপি/মার্চ ২১, ২০২৩)