আসাদ সবুজ, বরগুনা : বরগুনায় বিয়ের দাবিতে ভাগিনার বাড়িতে এসেছেন মামি। অপরদিকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত ভাগিনা।

বরগুনা সদর উপজেলার ১নং বদরখালী ইউনিয়নের পশ্চিম বাওয়ালকার গ্রামের আনন্দ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে আনন্দ বাজার এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার ১নং বদরখালী ইউনিয়নের বাওয়ালকার গ্রামের আনন্দ বাজার এলাকার গার্মেন্টস কর্মী জনৈক ছগীর হোসেনের সাথে প্রায় ১২বছর পূর্বে বিয়ে হয় ভুক্তভোগী ওই নারীর। দাম্পত্য জীবনে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে জন্ম নেয় তাদের সংসারে। স্বামী ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরীর করায় ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাড়িতেই শশুর শাশুড়ীর সাথে বসবাস করতেন ভুক্তভোগী ওই নারী। এন্ডুরাইড মোবাইল সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকায় মোবাইল নিয়ে মাঝে মাঝে ছগীরের চাচাতো বোন আলেয়ার লম্পট ছেলে আটো চালক খলিলের সাহায্য নিতেন ভুক্তভোগী ওই নারী। এই সুযোগে মোবাইল নম্বর নিয়ে ইমো কলের মাধ্যমে ভুক্তভোগী ওই নারীর সাথে প্রায় ৮-৯ মাস ধরে সখ্যতা গড়ে তোলে লম্পট খলিল। সখ্যতার এক পর্যায়ে ওই নারীর সাথে একাধিক বার শারিরীক সম্পর্ক হয় লম্পট খলিলের। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্বামীর সাথে সমস্ত ঘটনা স্বীকার করে বিয়ের দাবিতে লম্পট অটো চালক ও ছগীরের ভাগিনা পার্শ্ববর্তী বাড়ীর খলিলের বাড়ীতে আশ্রয় নেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, খলিল আমাকে নষ্ট করেছে। আমার স্বামীর সংসার নষ্ট করেছে। আমাকে খলিলের বিয়ে করতে হবে। আমি ঘটনার বিষয়ে আমার স্বামীর কোন দোষ নেই, তার দোষও আমি দেব না।

ঘটনার বিষয়ে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

(এএস/এএস/মার্চ ২১, ২০২৩)