মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : ইউরোপের দেশ পর্তুগালের বেজা শহরে দেয়াল চাপা পড়ে  শাহীন আহমেদ (৪৮) নামে এক প্রবাসী যুবকের নির্মম মৃত্যু হয়েছে ।

সোমবার বাংলাদেশ সময় সকালে পর্তুগালের পর্যটন শহর বেজায়ে ভারতীয় মালিকানাধীন একটি কোম্পানির কনস্ট্রাকশনের কাজ করার সময় দেয়াল চাপা পড়ে মারা যান ওই যুবক।

নিহত শাহীন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়নের মোকামবাজার এলাকার নিতেশ্বর গ্রামের মৃতঃ আরশদ উল্লার ছেলে। পাঁচ ভাই আর তিন বোনের মধ্যে শাহীন তৃতীয়। শাহীন ২০২১ সালে দেশ থেকে পর্তুগাল যান। এর আগে দীর্ঘ ৮ বছর মধ্যপ্রাচ্যের কাতারে ছিলেন তিনি। কাতার থেকে ২০২১ সালে দেশে এসে পরবর্তীতে চলে যান পর্তুগাল।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) শাহিনের মৃত্যুর খবর তাঁর নিজ বাড়িতে পৌঁছা মাত্র দুই অবুঝ মেয়েসহ পুরো পরিবার জুড়ে চলছে শোকের মাতম।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত শাহিনের রাইছা নামে ২ বছর বয়সী ও মিন্নু নামে ৮ বছর বয়সী দুই কন্যা শিশু রয়েছে। ছোট মেয়েকে ৩ মাসের রেখেই পর্তুগাল চলে যান শাহিন।

এদিকে প্রবাসে বাবার নির্মম মৃত্যুর কথা শোনার পর থেকেই রাইছার কান্না থামানো যাচ্ছে না। বাবার জন্য সে বার বার মুর্ছা যাচ্ছে দুই অবুঝ শিশু আর নিহত শাহীনের স্ত্রী ।

জানা যায়, পর্তুগালের বেজায়ে কনস্ট্রাকশনের কাজ করার সময় বাংলাদেশি শ্রমিক শাহিনের ওপর দেয়াল ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় জিএনআর পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শাহীনের মরদেহ বেজার সেন্ট্রাল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় লিসবনসহ গোটা পর্তুগালের বাংলাদেশ কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে।

নিহত শাহীনের ছোট ভাই সাহেল আহমদ তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে তাঁর ভাইয়ের মৃতদেহ সেখানকার হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। তিনি আরো জানান,মৃতদেহ দেশে আনার জন্য করনীয় ঠিক করতে সেখানকার বাঙালি কমিউনিটির লোকজন বৈঠকে বসেছেন। আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশ দেশে আসতে ৮ থেকে ১০ দিন সময় লাগতে পারে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সাজ্জাদুর রহমান জানান, পর্তুগালে শাহীনের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর পরিবারক সমবেদনা জানাতে ছুটে যাই। তিনি আরো জানান,শাহীনের মৃত্যুতে নিজ গ্রাম ও আশপাশের পুরো এলাকার মানুষ শোকাহত।

(একে/এএস/মার্চ ২২, ২০২৩)