স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডে কবিরাজের চিকিৎসায় ঝলসে গেছে আয়েশা নামের এক শিক্ষার্থীর শরীর। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার কাউন্সিল পাড়ার আরিফুল ইসলামের মেয়ে ও স্থানীয় বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় হরিণাকুণ্ডু থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর পিতা।

জানা গেছে, কবিরাজ সায়েদ আলী দীর্ঘদিন ধরে কবিরাজির নামে অপচিকিৎসা দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে হয়রানি করে আসছে। স্থানীয়রা অনেকবার তার অপচিকিৎসার শিকার হয়েছেন।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর পিতা আরিফুল ইসলাম জানান, আমার মেয়ে আয়েশার কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। লোকমুখে জানতে পারি হরিণাকুণ্ডুর শুড়া গ্রামের সায়েদ আলী নামে একজন কবিরাজ আছে। পরে গত সোমবার তার কাছে আমার মেয়ে আয়েশাকে নিয়ে আসি। আমার মেয়েকে ঝাড়ফুক পানি পড়া দিতে থাকে। এক পর্যায়ে ফুটন্ত গরম পানি দিয়ে চিকিৎসা করাতে থাকে। সেসময় আমার মেয়ে খুব অসুস্থ পড়ে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আমার মেয়ের শরীরের ৮ শতাংশ ঝলছে গেছে। আমি ওই কবিরাজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি (তদন্ত) আক্তারুজ্জামান লিটন জানান, এ ঘটনায় একটা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত কবিরাজকে গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান চলছে।

(একে/এসপি/মার্চ ২২, ২০২৩)