স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়। তবে ইন্টারপোলের নোটিশে এ আসামির জন্মস্থান বাগেরহাটে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে পুলিশ সদরদপ্তরের এনসিবি শাখা সূত্রে জানা গেছে, রবিউলের জন্ম বাগেরহাটের চিতলমারীতে মামার বাড়িতে। সেখানেই তার বেড়ে ওঠা। তার জাতীয় পরিচয়পত্রে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে বাগেরহাট উল্লেখ করা হয়েছে।

রেড নোটিশ জারি করতে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো আবেদনে রবিউলের জাতীয় পরিচয়পত্রের বাংলা ও ইংরেজি কপি সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। তাই তার জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ীই ইন্টারপোলের নোটিশে ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে।

জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে জানানো হয়, পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার আসামি আরাভ খান মামলার এজাহারভুক্ত রবিউল ইসলাম নামেই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েছিলেন। ঠিকানা হিসেবে বাগেরহাট জেলাও উল্লেখ করেছিলেন।

এনআইডি অনুযায়ী, রবিউল ইসলামের জন্ম ১৯৮৭ সালের ১৯ আগস্ট। পড়ালেখা করেছেন মাধ্যমিক পর্যন্ত, জন্মস্থান বাগেরহাট ও রক্তের গ্রুপ ‘বি’ পজিটিভ। রবিউলের বাবা মতিউর রহমান, মাতা লাখি ও স্ত্রীর নাম রুমা। এনআইডিতে আরাভ খান স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা উল্লেখ করেছেন বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার কোদলিয়া ইউনিয়নের আড়ুয়াডিহি গ্রাম।

মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার আশুতিয়া গ্রামের দিনমজুর মতিয়ার রহমান মোল্লার ছেলে রবিউল ইসলাম ওরফে সোহাগ মোল্লাই আরাভ খান। মতিয়ার রহমান মোল্লা একসময় চিতলমারী উপজেলায় ফেরি করে সিলভারের হাড়ি-পাতিল বিক্রি করতেন।

২০০৫ সালে চিতলমারী সদরের একটি বিদ্যালয় থেকে রবিউল এসএসসি পাস করেন। অভাবের কারণে তার লেখাপড়া আর এগোয়নি। ২০০৮ সালে চিতলমারী থেকে ঢাকা আসেন রবিউল ইসলাম। ২০১৮ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর বনানীতে পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যাকাণ্ডের আসামি এ রবিউল।

গত ২০ মার্চ পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছিলেন, আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এর ভিত্তিতে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারির কথা শোনা গেলেও তালিকায় তার নাম দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে ইন্টারপোলের রেড নোটিশে রবিউল ওরফে আরাভ খানের নাম পাওয়া গেছে। তালিকায় ৬৩তম বাংলাদেশি তিনি। রেড নোটিশে রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বয়স ৩৫। তার জন্মস্থান বাংলাদেশের বাগেরহাটে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রেড নোটিশ জারির পর প্রথম দু-তিনদিন তা প্রকাশ হয় না। শুধু এনসিবি সদস্য দেশগুলোর কর্মকর্তারা দেখতে পান। পরে সেটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হলে সবাই দেখতে পান।

(ওএস/এসপি/মার্চ ২৪, ২০২৩)