স্পোর্টস ডেস্ক : আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হওয়ার পরই শুরু হবে ১ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ৪ এপ্রিল থেকে ৮ এপ্রিল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এই টেস্টে বাংলাদেশ দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হলেন সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক) এবং লিটন দাস। দু’জনই আবার রয়েছেন আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সে (কেকেআর)।

৩১ মার্চ থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে আইপিএলের জমজমাট আসর। শুরুর পরদিনই মাঠে নামবে কেকেআর। সাকিব-লিটন চাইছেন, শুরু থেকেই আইপিএল খেলতে; কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাদেরকে ছাড়পত্র দিচ্ছে না। বিসিবির চাওয়া, টেস্ট খেলেই আইপিএলে যাক সাকিব এবং লিটন।

এ বিষয়টাই গত বেশ কয়েকদিন তুমুল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই মঙ্গলবার রাতে চাউর হয়ে যায়, বিসিবি নাকি শেষ পর্যন্ত তাদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। সাকিব এবং লিটনকে এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) দিয়েছে। অর্থ্যাৎ, টেস্ট না খেলেই আইপিএল খেলতে চলে যাবেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক এবং ওপেনার।

কিন্তু খবরটাকে পুরোপুরি ভুয়া বলে উড়িয়ে দিলেন বিসিবির সিনিয়র পরিচালক এবং ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। তিনি বরং সাকিব-লিটনের বিষয়ে ভুয়া সংবাদ প্রচার হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াই প্রকাশ করলেন জাগো নিউজের কাছে। তিনি পরিষ্কার করে বলে দিলেন, ‘সাকিবের ব্যাপারে যা শোনা যাচ্ছে, সোজা কথা এটা হচ্ছে পুরোপুরি গুজব। তাদের (সাকিব-লিটন) ব্যাপারে বোর্ডের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন নেই। এটা ক্লিয়ার যে, তাদেরকে এনওসি দেয়া হয়নি এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে দেয়াও হবে না।’

আইপিএলে সুযোগ পাওয়া আরেক বাংলাদেশি ক্রিকেটার হলেন মোস্তাফিজুর রহমান। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলবেন তিনি। ৩১ মার্চ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার পর ফ্রি হয়ে যাবেন বাঁ-হাতি এই পেসার। কারণ, টেস্ট স্কোয়াডে তাকে না রাখার সম্ভাবনাই বেশি।

সে হিসেবে মোস্তাফিজের এনওসি রেডি এবং ৩১ মার্চ বাংলাদেশের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেই আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন বাংলাদেশের এই কাটার মাস্টার।

(ওএস/এসপি/মার্চ ২৯, ২০২৩)