রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : ছোট ভাই লিয়াকত হোসেনের বুদ্ধিমত্তা ও সাহসের জোরে সুন্দরবনে কাঁকড়া শিকারে যেয়ে বাঘের আক্রমণের শিকার আব্দুল ওয়াজেদ জীবন নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে সুন্দরবনের কাঁছিকাটা দাঁড়গাঙ এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

বাঘের হামলায় জখম আব্দুল ওয়াজেদ (৪৫) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চোট ভেটখালি গ্রামের মৃত আব্দুর জব্বার গাজীর ছেলে।

শ্যামনগরের ছোট ভেটখালি গ্রামের লিয়াকত হোসেন জানান, সোমবার তিনি ও তার বড় ভাই ওয়াজেদ আলী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই সুন্দরবনে কাঁকড়া ও মধু সংগ্রহ করতে যান। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে তারা সুন্দরবনের কাঁছিকাটা দাঁড়গাঙ এলাকায় কাঁকড়া ধরছিলেন। এ সময় একটি বাঘ হঠাৎ করে ভা ওয়াজেদ আলীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ২০ ফুট দূর থেকে তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে গরনি কাঠের লাঠি দিয়ে বাঘের উপর আক্রমণ করার আগেই ভাইকে ফেলে বাঘটি চলে যায়। এ সময় তার ভাই ওয়াজেদ ঘাড়, পিঠ এবং মাথায় সামান্য জখম হন। বর্তমানে তাকে বাড়িতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এরপর নৌকায় তুলে বুধবার ভোরে ভাইকে লোকালয়ে আনা হয়। ঘটনাস্থলটি সুন্দরবনের গভীরে এবং সেখানে কোন মোবাইল নেটওয়ার্ক কাজ করে না বলে ফিরে আসতে বেশী সময় লেগেছে বলে জানান লিয়াকত হোসেন। এখন তাকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

কৈখালি স্টেশন কর্মকর্তা স্বাদ আলী জামি জানান, অনুমতি ছাড়াই ওয়াজেদ আলী সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে যান। কাঁকড়া ধরার একপর্যায়ে সুন্দরবনের ভারতের অংশে চলে যাওয়ায় তিনি বাঘের আক্রমণের শিকার হন বলে জেনেছি।

সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এমকেএম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী জানান, সুন্দরবনের ভারতের অংশে এক বনজীবী বাঘের আক্রমণের শিকার হয়েছেন মর্মে তিনি শুনেছেন। তবে তার সুন্দরবনে ঢোকার কোন অনুমতি ছিল না।

(আরকে/এসপি/মার্চ ২৯, ২০২৩)