স্টাফ রিপোর্টার : চলতি রমজান শুরুর আগেই লেবুর দাম বেড়েছিল লাফিয়ে লাফিয়ে। শেষ দফায় প্রথম রোজায় লেবুর হালি ৮০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। ছোট ও মাঝারি আকারের প্রতি হালি লেবুর দাম ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। তবে মাত্র চারদিনের ব্যবধানে এই দামে মিলছে এক ডজন লেবু। আর প্রতি হালি লেবু পাওয়া যাচ্ছে ২০ টাকায়।

বুধবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট ও মাঝারি আকারের প্রতি ডজন লেবু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। এছাড়া বড় আকারের লেবুর হালি ৩০ টাকায় নেমেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে লেবুর সরবরাহ বেড়েছে। আবার দাম চড়া থাকায় গত কয়েকদিন বিক্রিও ছিল কম। কারণ দামের কারণে এবার লেবু কেনায় ক্রেতাদের আগ্রহও কমেছে। ফলে চাহিদা কমে যাওয়ায় লেবুর দাম পড়ে গেছে।

রামপুরা, মেরুল ও বাড্ডা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও কোথাও দাম একটু বেশি চাইলেও দরদাম করে প্রতি হালি লেবু ২০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

রামপুরা বাজারের লেবু বিক্রতো মজনু মিয়া বলেন, ঠিক এই আকারের (মাঝারি আকারের) লেবু রোজার প্রথম দিন ৫০ থেকে ৬০ টাকা হালি বিক্রি করেছি। এখন সেই একই লেবু ২০ টাকা হালিতেও অনেকে নিতে চাইছে না। তাই এক ডজন ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি।

রাজধানীর বাজারগুলোতে আজ লেবুর প্রচুর সরবরাহ চোখে পড়ে। এছাড়া পাড়া মহল্লা ও রাস্তার পাশে ভ্যানে বা ঝুড়িতে করে অনেক বিক্রেতাকে লেবু বিক্রি করতে দেখা যায়। এসব ব্যবসায়ীরা ফেরি করে লেবু ও অন্যান্য পণ্য আরও কম দামে বিক্রি করছেন।

কয়েকজন ক্রেতা–বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোজায় বাড়তি দাম পাওয়ার আশায় অপরিপক্ব অবস্থায় বাজারে প্রচুর লেবু নিয়ে আসেন অনেক ব্যবসায়ী। এ কারণে লেবুতে যে পরিমাণ রস পাওয়ার কথা তা মিলছে না। ফলে সেগুলো বিক্রি হয়নি। এছাড়া নতুন করে মৌসুমি লেবু আসছে। সবমিলিয়ে এখন লেবুর সরবরাহ বেশ ভালো, চাহিদার তুলনায় বেশি।

(ওএস/এসপি/মার্চ ২৯, ২০২৩)