উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : বর্বর পাকবাহিনী রংপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হয়ে রংপুর শহর ও সংলগ্ন গ্রাম -গঞ্জের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। এতে বহু লোক প্রাণ হারায়। পাশাপাশি পাক বাহিনী আগুন জ্বালিয়ে বাড়িঘর-মহল্লা গ্রাম ধ্বংস করে এবং পাশবিক অত্যাচার চালায়।

সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষে চট্টগ্রাম স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি ও সাহায্যদানের জন্য বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক সরকার ও জনগনের প্রতি পুনরায় আবেদন জানায়।

সকাল ৮ টায় ১০৭তম ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার এস.এ.আর.দুররানী যশোর সেনানিবাসের অস্ত্রাগারের চাবি নিজের কাছে নিয়ে নেয়। ব্রিগেডিয়ার দুররানী স্থান-ত্যাগের সাথে সাথে বিক্ষুদ্ধ বাঙালি সৈনিকরা অস্ত্রাগারের তালা ভাঙ্গে এবং নিজেদেরকে অস্ত্রসজ্জিত করে।

রাতে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের ওপর পাকিস্তান বিমানবাহিনী বোমা বর্ষণ করে। চট্টগ্রাম শহরকে পাকবাহিনী চারিদিক থেকে ঘেরাও করে এবং বোমা বর্ষণ শুরু করে।

বিকেল ৫ টার দিকে মতিন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন দখল করে।

গোদাবাড়িতে অবস্থানরত ই.পি.আর. বাহিনীর উপর পাকবাহিনীর সর্বাত্মক আক্রমণে সিপাই আবদুল মালেক শহীদ হন।

মেজর জিয়া ক্যাপ্টেন অলিকে কালুরঘাটের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন।

পাকবাহিনী প্রথম বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিকাংশ সৈন্য,বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যদের পরিবার-পরিজনসহ শিশু,নারী,বৃদ্ধদেরও নৃশংশভাবে হত্যা করে।

ময়মনসিংহের রাবেয়া মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ে মেজর শফিউল্লাহ ঢাকা আক্রমনের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন।

ঠাকুরগাঁও-এ অবস্থিত পাকিস্তানিদের মূল ঘাঁটি উইং হেড কোয়ার্টার আক্রমণের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ই.পি.আর.সুবেদার আতাউল হক ও ল্যান্স নায়েক জয়নাল আবেদীন শহীদ হন।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

(ওএস/এএস/মার্চ ৩০, ২০২৩)