স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের হরিনাকুণ্ডুতে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রবিউল ইসলাম নামের একজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। সে উপজেলার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে।

এদিকে এ ঘটনার পর রাতেই হরিনাকুণ্ডু পৌর আওয়ামীলীগ কর্মী আক্কাচ আলীর বাড়িসহ ৬ বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় প্রতিপক্ষরা। পরে রনি নামের আরও একজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। তাকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলামের সমর্থক রবিউল ইসলাম এর সঙ্গে জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী আক্কাচ আলীর সামাজিক ও রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে বিকালে হরিণাকুণ্ডু শহরের একতারা মোড়ের একটি গ্যারেজে ইজিবাইক রেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় মসজিদে নামাজ পড়তে যায় রবিউল। নামাজ পড়ে বের হলে ওই এলাকা থেকে ৪-৫ যুবক তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।

পরে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল এবং এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাতে সে মারা যায়। এ ঘটনার পর নিহতের স্বজনরা জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ কর্মী আক্কাচ আলীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরই জেরে আক্কাচ আলীর লোকজন নিহতের ভাগ্নে রনিকে কুপিয়ে আহত করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি (তদন্ত) আক্তারুজ্জামান জানান, হামলার পরে রবিউল ইসলাম মারা গেছে বলে জেনেছি। এ ঘটনার পর একজন কুপিয়ে আহত করা হয় এবং কয়েকটি বিচালির (খড়) গাদায় আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম জানান, তাদের এলাকায় দুইটি সামাজিক পক্ষ রয়েছে। রবিউল ইসলাম তার সমর্থক। মূলত সামাজিক বিরোধেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে নিহতের জামাই রাসেল হোসেন বলেন, ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথেই আমার শশুর রবিউল মারা গেছে। আমরা মরদেহ ঝিনাইদহে নিয়ে আসছি। ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম জানান, অগ্নিকাণ্ডে জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের ৬টি বাড়ির কিছু ঘর পুড়ে গেছে এবং বেশ কিছু খড়ের গাদাও পুড়েছে।

(একে/এসপি/এপ্রিল ০১, ২০২৩)