কেন্দুয়া প্রতিনিধি : মুরগির খামার স্থাপনকে কেন্দ্র করে ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায়ে শাশুড়ি আমেনা বেগমকে (৫৩) ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করেছে ছেলের বউ ও নাতিরা। আশংকাজনক অবস্থায় আমেনা বেগম ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

আমেনা বেগম কেন্দুয়া উপজেলার ৮ নং বলাইশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের ৪ বারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মরহুম মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার গভীর রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে।

জানা যায়, বলাইশিমুল গ্রামের নিজ বাড়িতে পারিবারিক একটি মুরগির খামার স্থাপনকে কেন্দ্র করে মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রীর ছেলে মাহবুবের স্ত্রী পারুল আক্তারের সাথে ঝগড়া বিবাধ চলে আসছিল আমেনা বেগমের। মাহাবুবের বিরুদ্ধে একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে সারাদের ঝগড়া বিবাদের জের ধরে উত্তেজিত হয়ে পারুল আক্তার তার ছেলে মেয়েদের সহায়তায় শাশুড়ী আমেনা বেগমকে কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। ওইদিন রাতেই তাকে প্রথমে কেন্দুয়া উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শনিবার আমেনা বেগমের পরিবারের লোকজন জানান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধিন রয়েছেন। এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি। তবে পারুল আক্তার ও তার ছেলেমেয়েরা পলাতক রয়েছে।

বলাইশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুর রহমান জানান, প্রাক্তন চেয়ারম্যান মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী আমেনা বেগমকে কুপিয়ে জখম করেছে ছেলের বউ, এ কথা শুনেছি। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমানের বেগমের জামাতা রফিকুল ইসলাম শুক্রবার মাহাবুবের কয়েকটি ছাগল বাড়িতে জোর করে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে রফিকুলের সাথে যোগাযোগ করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

(এসবি/এসপি/এপ্রিল ০১, ২০২৩)