কাজী হাসান ফিরোজ, বোয়ালমারী : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১২ কেজির সিলিন্ডার সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেশিতে বিক্রি করছেন। 

জানা যায়, দেশে ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ১২ কেজিতে ২৪৪ টাকা কমিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এপ্রিলে প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৭৮ টাকা, যা মার্চে ছিল ১ হাজার ৪২২ টাকা। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কর্তৃক বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক/ভ্যাটসহ) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি প্রায় ৯৮ দশমিক ১৭ টাকা, যা এত দিন প্রায় ১১৮ টাকা ৫৪ পয়সা ছিল।

এদিকে ঘোষিত নতুন দর ২ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে কার্যকর করা হলেও ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কোথাও নির্ধারিত ওই দামে মিলছে না ১২ কেজির গ্যাসের সিলিন্ডার।

বোয়ালমারী পৌরসভার চৌরাস্তায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু চত্বরের পূর্ব পাশের একটি তেল ও গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মী বুধবার রাতে বলেন, '১২ কেজির বসুন্ধরা কোম্পানির একটি সিলিন্ডার ১২শ ৫০ টাকা।'

এপ্রিলে প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৭৮ টাকা-বিষয়টির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওই বিক্রয়কর্মী বলেন, 'সরকার ১১শ ৭৮ টাকা নির্ধারণ করলেও প্রতি বোতল আনা-নেওয়ার পরিবহন খরচসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচের কারণে ১২শ ৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।'

উপজেলার রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে অবস্থিত রমা ডেকোরেটরে বিভিন্ন কোম্পানির গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করেন। ওই দোকানের গ্যাস বিক্রয়কর্মী গৌর সাহা বলেন, 'বসুন্ধরা কোম্পানির ১২ কেজির গ্যাসের সিলিন্ডার এখন ১৩শ ৪০ টাকা।' এত টাকা বেশি কেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আগের আনা গ্যাস। টাকা কমানোর পরে আনা হয়নি।'

এ ব্যাপারে বসুন্ধরা কোম্পানির উপজেলা পর্যায়ের ডিলার শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু বলেন, 'সরকারের ঘোষণার সাথে বাজার মূল্যের বাস্তবে মিল থাকেনা। সরকার ১১শ ৭৮ টাকা মূল্য ঘোষণা করলেও ডিলারগণের ১২১০ টাকা ডিও রেটে গ্যাস সিলিন্ডার খরিদ করতে হচ্ছে। খরিদ মূল্যের সাথে পরিবহনসহ নানাবিধ খরচ যুক্ত হয়ে খুচরো বিক্রেতার নিকট পৌঁছায় ১২৩৫ টাকায়।'

(কেএফ/এসপি/এপ্রিল ০৭, ২০২৩)