রায়পুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌর শহরের হোটেলগুলোতে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাবাব, গ্রীল, হালিম, মিষ্টি, দধি, ছানা, রসমালাইসহ বিভিন্ন খাবার তৈরি করতে তারা ব্যবহার করছেন মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নানা রকম রাসায়নিক দ্রব্য। বিক্রি হচ্ছে পঁচা, বাসি খাবার ও বিষাক্ত পানি পান ব্যবহার করা হচ্ছে। 

জানা যায়, পৌর শহরে ছোট-বড় মিলে প্রায় ২০ থেকে ২৫টি খাবার হোটেল রয়েছে। এর মধ্যে শহরের প্রধান সড়কে রয়েছে মোহাম্মদিয়া হোটেল, আজমেরি হোটেল, বিসমিল্লাহ হোটেল ও শাহী হোটেল সবচেয়ে বড়। এই চারটি হোটেলইে দিন-রাত ধরে বেশি লোকজন খাবার খেয়ে থাকেন। এদের খাদ্য দ্রব্যের দাম বেশি হলেও নেই খাবারের কোন মান। এমনকি বেশ কয়দিনের পুরানো বাসি খাবারও বিক্রি হয় এসব হোটেলগুলোতে। অপরিচ্ছন্ন পচাঁবাসি খাবার পরিবেশ করা হলেও জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। ফলে অপরিচ্ছন্ন খাবার খেয়ে সাধারণ জনগণ বিভিন্ন রোগে ভুগছে।

সরেজমিনে বিস্মিল্লাহ হোটেলে গিয়ে দেখা যায়, ভালোভাবে পরিষ্কার করা ছাড়াই দুই কর্মচারী মুরগী ও গরুর মাংস রান্না করছেন। তাদের শরীরের ঘাম ঝরে খাবারে পড়ছে। পাশেই খোলা ড্রামে রাখা পোড়া তেল ও অস্বাস্থ্যকর মংসলা। তেল ও অন্যান্য খাবারের ওপর মশা-মাছি মরে আছে। পাশেই রয়ছে খোলা টয়লেট। খাবারে বিভিন্ন রং ও স্যাকারিন (ঘনসিচি) ব্যবহার করা হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বাহারুল আলম বলেন, শহরের বিভিন্ন হোটেলে পঁচা, বাসি খাবার ও পোড়া মুরগি (গিরিল) ও অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি খাবার খেয়ে পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে মানুষের। স্বাস্থ্য পরিদর্শককে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও কোন রহসজনক কারণে সে শুনছে না। বিষয়টি সিভিল সার্জন স্যারকে বলা হবে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রাসেল ইকবাল বলেন, আমার প্রায় সময় হোটগুলো ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আসছি। দু-এক দিনের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে আবারও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি খাবারের সাথে প্রশাসনের কোন অপষ নেই।

(এস/এসপি/মে ০২, ২০২৩)