কেন্দুয়া প্রতিনিধি : নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা আব্দুল হামিদ স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি ও ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র বাবদ নেয়া টাকা ফেরত দেয়ার দাবিতে শনিবার দুপুরে স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকগণ। 

রবিবার এর প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগকারী ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য নোটিশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গড়াডোবা আব্দুল হামিদ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান ভূইয়া প্রবেশপত্র আটকিয়ে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৮শ করে টাকা আদায় করেন। যারা ওই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে তাদেরকে প্রবেশপত্র না দিয়ে হয়রানি করা হয়।

পরীক্ষার্থীরা কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে প্রবেশপত্র পায় পরীক্ষার্থীরা। গড়াডোবা গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধি বোরহান উদ্দিনের ভাষা তার ৩ সন্তান ওই প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে। বড় কন্যা মরিয়ম এস.এস.সি পরীক্ষার্থী, মধ্যম ছেলে আশরাফুল ও ছোট ছেলে মাশরাফি ৮ম শ্রেণিতে পড়ছে। তার কোন জমিজমা নেই। বিদ্যালয় থেকে দেয়া হয়না উপবৃত্তিও। এস.এস.সি পরীক্ষার প্রবেশপত্র বাবদ তার কাছ থেকেও ৪শ টাকা আদায় করে নেন প্রধান শিক্ষকের প্রতিনিধি জাকির হোসেন মাষ্টার। এরকম অনেক দাবি নিয়েই স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা। তারা অনতিবিলম্বে প্রবেশপত্রের বিনিময়ে নেয়া টাকা খুব তারাতাড়ি ফেরত না দিলে আরো বড় ধরনের আন্দোলনের কর্মসূচি হাতে নেবেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী জালাল ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগটি তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে রোববার বিকেলে থেকে গড়াডোবা আব্দুল হামিদ স্কুল এন্ড কলেজে উপস্থিত হয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করছি। এই তদন্তকালে অভিযোগকারী ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, প্রধান শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষককে উপস্থিত থাকার জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে এর ফলাফল বলা যাবে।

(এসবি/এসপি/মে ০৭, ২০২৩)