ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : ‘আমরা নীলফামারীতে মঞ্চ তৈরি করেছিলাম। নীলফামারীতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা যে মঞ্চ বানালো, সেই মঞ্চ ভাঙলেন আপনারা কারা ? আপনাদের পরিচয় কি ? আপনারা মনে হয় না কেউ নীলফামারীর সন্তান, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে নীলফামারীতে আমাদের নেতা-কর্মীদের সাথে এই মাস্তানীটি না করলেই পারতেন। ওনাদের জিজ্ঞেস করলে বলবে কি জানেন? ‘ভাই কিচ্ছু করার ছিল না’ ওপরের চাপ। ওপরের চাপ শুনেই তো তাদের যেখানে চায়, সেখানেই মিটিং করতে দেন, আর আমাদের চাপ তো এখনো পাননি। ওপরের চাপে কাহিল হয়েছেন। নিম্নচাপ তো এখনো আপনাদের বাকীই আছে।‘

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অধিনস্থ আদালত এবং সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবী মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশী হয়রানী, দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দূর্নীতির প্রতিবাদে এবং ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের নীলফামারীতে আজ বিকেলে বিএনপির গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল এসব কথা বলেছেন ।

গণসমাবেশে তিনি আরও বলেন, ‘কদিন আগে একটা নিম্নচাপ গেলো। এই নিন্মচাপের সর্বনিন্ম বাতাসের গতি বেগ ছিল প্রতি ঘন্টায় ১৫০ কিলোমিটার, এতেইতো দেখললাম ১০ নম্বর বিপদ সংকেত, যে নিম্নচাপ আসছে ১৫০ না, ২৫০ না, ৩০০ না, ৫০০ না, সহস্র কিলোমিটার বেগে ঝড় উঠবে। আপনারা যারা ছোট জায়গার মধ্যে ঢেলে দিচ্ছেন। আমাদের সেই সহস্র কিলোমিটার নিন্মচাপ নিতে পারবেন তো।‘

আজ বিকেলে পূর্ব ঘোষিত বিএনপির গণসমাবেশের ঘোষণা ছিল শহরের পৌর মার্কেটের উত্তর প্রান্তে। তবে, বিএনপি গণসমাবেশের অনুমতি পায় শহরের পৌর মার্কেটের দক্ষিণ দিকে, যা কি না জেলা বিএনপির কার্যালয়ের পাশেই।

জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সোহেল পারভেজের সভাপতিত্বে এই গণসমাবেশে জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেছে। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম, সহ-সভাপতি মীর সেলিম ফারুক, সহ-সভাপতি মোস্তফা হক প্রধান বাচ্চু, সহ-সভাপতি মোক্তার হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রাহেদুল ইসলাম দোলন প্রমুখ।

(ওআরকে/এএস/মে ২০, ২০২৩)